অনলাইন ডেস্ক, ৬ জুলাই।। আইনি লড়াই শেষেও বাবাই থাকছেন ব্রিটনি স্পিয়ার্সের অভিভাবক। আদালতে আবেগপ্রবণ বক্তব্য দিয়েও বিচারকদের মন গলাতে পারলেন না ব্রিটনি। পপ তারকার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ফলে তার আইনি অভিভাবক হিসেবে বাবা জেমি স্পিয়ার্সই বহাল থাকছেন। নভেম্বরে ব্রিটনির আইনজীবী তার বাবাকে আইনি অভিভাবকত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর আবেদন করেছিলেন। সেখানে জানানো হয়, বাবা জেমি স্পিয়ার্সকে ভয় পান ব্রিটনি। তখনো আদালত তার বাবাকেই অভিভাবক হিসেবে বহাল রাখেন।
গত বুধবার আবারও নিশ্চিত করা হয় যে বাবাই থাকছেন ব্রিটনির আইনি অভিভাবক। ২৩ জুন শুনানিতে ব্রিটনি তার বাবার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ এনেছিলেন। সেগুলো এবার খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেছেন তার বাবা জেমি। তার ভাষ্য, তিনি কেবল মেয়ের মঙ্গল চান। এদিকে বিসেমার ট্রাস্ট আদালতে সহ-আইনি অভিভাবকত্ব থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছে।
তাদের মতে, এখন পরিস্থিতি অনেক বদলে গেছে। পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে নিজের জীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স। প্রায়ই বিষণ্ন থাকতেন তিনি। পরে ২০০৮ সালে তাকে ও তার সম্পত্তি দেখভালের জন্য বাবা জেমি স্পিয়ার্সকে আইনি অভিভাবক করা হয়। কিন্তু দিনে দিনে সেই অভিভাবকত্ব শিকল হয়ে ওঠে ব্রিটনির কাছে। সেটা থেকে মুক্তি চান এই সংগীত তারকা।
ব্রিটনির কথা, তিনি বিয়ে করতে চান। এতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আইনি অভিভাবকত্ব। তাকে গর্ভনিরোধক ডিভাইস পরে থাকতে হয়েছে, যাতে সন্তান নিতে না পারেন। অভিভাবকেরা চান না তিনি আর সন্তান নেন। আগেও বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন এই পপ তারকা। বাবা নাকি অনুমতি ছাড়াই তার টাকা নিয়ে নিজ ব্যবসায় লাগিয়েছেন।
ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে তাকে মানসিক রোগের ওষুধ খেতে বাধ্য করেছেন। এই জীবন থেকে আদালতের কাছে মুক্তি চেয়েছিলেন ব্রিটনি। আপাতত তার অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের আদালত। আদালতের বক্তব্য, এখনো তার সম্পদ রক্ষা করতে যথেষ্ট সক্ষম নন ব্রিটনি স্পিয়ার্স।