অনলাইন ডেস্ক, ৪ জুলাই।। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকার সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার পর এই দুই দলের সমর্থকদের এখন একটাই স্বপ্ন— ফাইনাল হোক লাতিন ফুটবলের দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর। কেবল ভক্ত-সমর্থকেরা নন; পুরো ফুটবল বিশ্বও হয়তো চায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফাইনাল। শিরোপা লড়াইয়ে ফুটবল বিশ্বের দুই চিরশত্রুকে দেখা তো স্বপ্ন বটে।
অবশ্য তার আগে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে পার হতে হবে পেরুর বাধা। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ভোর ৫টায় রিও ডি জেনেইরোর নিল্তন সান্তোসে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল। একই মাঠে বুধবার সকাল ৭টায় ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চায় দ্বিতীয় সেমিতে আর্জেন্টিনা খেলবে কলম্বিয়ার বিপক্ষে। ১০ জনের দল হয়ে পড়েও চিলিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করে ব্রাজিল। অন্যদিকে আসরের শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে লিওনেল মেসির ম্যাজিকে ইকুয়েডরকে ৩-০ গোল উড়িয়ে সেমিতে আর্জেন্টিনা।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেন নিজেদের খোলস ছেড়ে উড়তে শুরু করেছে লা আলবিসেলেস্তেরা। মেসিও আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। আসরে দলের ১০ গোলের চারটিতে অ্যাসিস্ট করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ চার গোলও করেছেন তিনি। অন্যদিকে ব্রাজিলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন নেইমার। চিলির বিপক্ষে একমাত্র গোলের জয়ে অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পাশাপাশি সময়ের দুই সেরা তারকা মেসি-নেইমারকে ফাইনালের মঞ্চে দেখার অপেক্ষায় ফুটবল ভক্ত-সমর্থকরা। ১১ জুলাইয়ের ফাইনাল হবে রিওডি জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে।
তার আগের দিন হবে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। গত আসরের কোপায় ব্রাজিলের বিপক্ষে হেরে ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন ভাঙে আর্জেন্টিনার। তৃতীয় স্থান নির্ধারণীতে এর আগের দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন চিলিকে হারিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় মেসিদের। দীর্ঘদিনের শিরোপা খরা কি এবার গোছাতে পারবে আর্জেন্টিনা? ২০১৫ ও ২০১৬ সালে দুইবার চিলির বিপক্ষে হেরে রানার্স-আপ হয়ে ঘরে ফিরতে হয় তাদের। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে মেসিও স্বপ্ন দেখছেন, দেশকে একটি আন্তর্জাতিক শিরোপা উপহার দেওয়ার।
কিন্তু তার আগে যে তাদের সামনে অনেক কঠিন পথ! উরুগুয়েকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শেষ চারে যাওয়া কলম্বিয়ার বাধা পেরোনো সহজ হবে না লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের। অন্যদিকে স্বাগতিক ব্রাজিল গত আসরের শিরোপা জিতেছিল পেরুকে হারিয়ে। এবার দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে সেমিতেই। পেরু কি পারবে শিরোপা হারানোর প্রতিশোধ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে যেতে? আর তা যদি হয় তবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফাইনাল দেখার স্বপ্নটা মারা যাবে মাঠেই।