Smart City : মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি শহীদ মিনার ভেঙে ও শ্বেত পাথরে লেখা গৌরব গাঁথা মুছে স্মার্ট হচ্ছে আগরতলা

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৪ জুলাই।। ১৯৭১ সনে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, পাক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার জয় ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারত বিশেষ করে ত্রিপুরার মানুষের উল্লেখযোগ্য অবদানের স্মারক হিসেবে পোস্ট অফিস চৌমুহনীতে বসানো হয়েছিল একটি ট্যাংক ও কামান।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় এক সমুদ্র রক্ত ও লাখো লাখো প্রাণের বধ্যভূমি থেকে ।পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারতের জয় এক ঐতিহাসিক গৌরবজনক ঘটনা।

মুক্তিকামী জাতির পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় সেনা। দেশ দখলের যুদ্ধ নয়, পরাধীনতার নাগপাশ থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার যুদ্ধে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছিল ভারতীয় সেনারা।

ভারতবাসীরা এবং অবশ্যই ত্রিপুরাবাসী। সেই ইতিহাসকে ধরে রাখার জন্য পাক ভারত যুদ্ধে ও মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য পোস্ট অফিস চৌমুহনীতে ট্যাংক ও কামান।

নির্মাণ করা হয়েছিল সুউচ্চ শহীদ মিনার। পাঁচ দশক ধরে আগরতলার আত্ম-পরিচয়ের অন্যতম অহংকার ছিল পোস্ট অফিস চৌমুহনীর কামান ও ট্যাংক।

শহরের হৃৎপিণ্ডে ছিল শহরের পরিচয়জ্ঞাপক স্মারকগুলো। এ শহর জানে প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়াতে। এ শহর জানে বিপন্ন ও দুর্গতদের জন্য দরজা খুলে দিতে। নিরন্ন ও নিরাশ্রিতদের আশ্রয় দিতে, ভরসা দিতে।

এ শহর উদার, আত্মকেন্দ্রিক নয়। একাত্তরের বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে ত্রিপুরা ও আগরতলার ভূমিকা এক গর্বের ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্যকে আবহমানকালের জন্য ধরে রাখতেই কামান ও ট্যাংক পোস্ট অফিস চৌমহনীতে।

গতবছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি কামান তুলে নেয়া হয়েছিল। এবছর ৩ জুলাই ভেঙে ফেলা হল স্মৃতি শহীদ মিনার ও শ্বেত পাথরে লেখা গৌরব গাঁথা।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?