স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৩ জুলাই।। কারফিউর মধ্যে রাজধানী শহরে জারি রয়েছে চুরি-ছিনতাই এবং মারপিটের ঘটনা৷ শুক্রবার রাতে এবং শনিবার দিন পৃথক পৃথকভাবে দুটি চুরি, একটি ছিনতাই এবং কয়েকটি মারপিটের ঘটনা ঘটে৷ সব ঘটনাতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন নাগরিক মহল৷
প্রশ্ণ উঠেছে কারফিউর মধ্যে কেন সাধারণ মানুষকে ঘরবন্দি করে চোর ছিনতাইবাজ এবং সমাজদ্রোহীদের ছাড় দিয়ে রেখেছে পুলিশ৷ প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতেই চুরি হয় রাজধানীর ভাটি অভয়নগরে আসাম রাইফেলসের রাজ্য সদর দপ্তরের পাশে৷ চোর স্থানীয় এক বাড়িতে ঢুকে ঘর তছনছ করে সমস্ত মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায়৷
বাড়ির মালিক বাবুল শীল-এর অভিযোগ ঘরের সমস্ত স্বর্ণালঙ্কার সহ গুরুত্বপূর্ণ যা কিছু ছিল সবই চোরেরা নিয়ে গেছে৷ ঐদিন রাতে তারা বাড়িতে ছিলেন না৷ খালি বাড়িতে ঢুকে চোর রীতিমতো লুটপাট করে চলে গেছে৷ শনিবার বাড়ি ফিরে তারা এই চুরির ঘটনা টের পান৷ আসাম রাইফেলস-এর নিরাপত্তা ঘেরাটোপে কিভাবে এই দুঃসাহসিক চুরি হলো তানিয়ে প্রশ্ণ তুলেন ক্ষতিগ্রস্ত মালিক সহ স্থানীয় নাগরিক মহল৷
পাশাপাশি রাতের শহরে আদৌ কোন পুলিশি টহল রয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ণ তুলেছেন স্থানীয়রা৷ অন্যদিকে, শনিবার রামনগর এলাকায় চুরি হয়েছে৷ বেলা দুইটায় কারফিউ লাগু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা বাদে রাজধানীর মহারাজগঞ্জ বাজারে নেশার আসরে মারপিট শুরু করে কয়েকজন যুবক৷
ঘটনার সময় পুলিশের কোন অস্তিত্ব ছিল না৷ সেই মারপিটের ঘটনায় স্বপন মিয়া নামে এক যুবক জখম হয়৷ অভিযোগ বিশাল সাহা নামে এক যুবক এই মারপিট সংগঠিত করে৷ পরবর্তীকালে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ রাতে খবর লেখা পর্যন্ত ওই যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে৷
কারফিউ জারি হওয়ার পর কিভাবে রাজধানীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা মহারাজগঞ্জ বাজারে নেশাখোরদের ভিড় ছিল তানিয়ে প্রশ্ণ তোলেন ব্যবসায়ী মহল৷ অনেকেই এদিন অভিযোগ করে বলেন ২টার আগেই পুলিশ লাঠি নিয়ে এসে সাধারণ ব্যবসায়ীদের বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়৷
কিন্তু পুলিশের জ্ঞাতসারেই ছাড় দেওয়া থাকে অবৈধ মদের অবৈধ বারগুলো৷ সেই বারগুলোতে নেশাখোরদের জমজমাট আসর জমে থাকে৷ সেই আসরে ঝগড়ার জের ধরেই এদিন এক যুবককে খুনের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ৷
সবকটি ঘটনাতেই রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাগরিক মহল৷ অথচ দিনের শেষে সন্ধ্যায় শহরে যখন মুখ্যমন্ত্রী হাঁটতে বের হন তখন পুলিশবাবুদের ব্যস্ততার অন্ত থাকে না৷