অনলাইন ডেস্ক, ৩ জুলাই।। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা এবং তাদের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার এ ঘোষণা আসে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। তারই প্রতিক্রিয়ায় আরেক দফা বিধি-নিষেধে গেল যুক্তরাষ্ট্র।
ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় গণতন্ত্রপন্থী সমর্থকদের ওপর সরকারি দলের মারণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য সাতজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার ওপর আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এ ছাড়া আগে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত কর্মকর্তাদের পরিবারের ১৫ জন সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তাদের ‘আর্থিক যোগাযোগ’ সামরিক কর্মকর্তাদের অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থে অবদান রেখেছে বলে জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমারের নাগরিকদের লক্ষ্য করে নয়। এর লক্ষ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে এই ২২ জনের যে সমস্ত সম্পদ থাকতে পারে তা থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওপর আর্থিক বোঝা বৃদ্ধি করা ।
পরিপূরক পদক্ষেপ হিসেবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চলমান পদক্ষেপকে সমর্থন করে এমন চারটি প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্য রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত অং সান সু চি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের সেনা বাহিনী। সু চি-সহ অসংখ্য রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তার করে নানান অভিযোগ আনা হয়। এরপর দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হলে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ৮৬০ জন নিহত হয়েছে।
আহত ও গ্রেপ্তার হয়েছে কয়েক হাজার। সেই বিক্ষোভ এখনো চলমান। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা নিন্দা জানিয়েছে। জাতিসংঘে এ বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়।
জুনের শেষ দিকে মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে এক বিরল আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। সংস্থাটির সাধারণ পরিষদে সামরিক জান্তার নিন্দা সংবলিত একটি রেজ্যুলেশন বা প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে।
প্রস্তাবটি ১১৯টি দেশ সমর্থন করেছিল, শুধু বেলারুশই এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুই বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী রাশিয়া ও চীনসহ ৩৬টি দেশ ভোট থেকে বিরত ছিল।