Light of Hope : মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনা আশার আলো দেখছেন সিপাহীজলার কৃষকগণ

।। বিহার জমাতিয়া ।। কৃষি শুধু গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত্তি নয়। রাজ্যের বিকাশে কৃষির ভূমিকা অপরিসীম। রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জনগণের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনা একটি অন্যতম পদক্ষেপ।

চলতি অর্থবছর থেকেই রাজ্যে এই যোজনার সূচনা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত এই প্রকল্পে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার ৬ লক্ষ পরিবারকে এই যোজনার আওতায় আনা হবে।

এই যোজনায় কৃষি, উদ্যানজাত ফল ও ফসল, মৎস্য প্রাণী এবং বনভিত্তিক কর্মসূচি রূপায়ণের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার কৃষকদের স্বনির্ভর করে তোলার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। কৃষকগণ যাতে নিজের বাড়িতেই তাদের চাহিদা পূরণ করে স্বনির্ভর হতে পারেন সেই লক্ষ্যেই এই যোজনা। মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় সিপাহীজলা জেলার কৃষকদের ফল ও সব্জি চাষে সহায়তা দেওয়ার কাজ হয়েছে।

এই সহায়তা কৃষ এখন আশার আলো দেখছেন। অনেকেরই জমি ছিলো কিন্তু এই জমি তারা কাজে লাগাতে পারছিলেন না। মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনার এই সহায়তা পেয়ে তারা খুশি৷ জেলার উদ্যান পালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের দুটি বাগান থেকে কৃষকদের ফল ও সব্জির চারা দেওয়া হচ্ছে।

নলছড় ব্লকের জুমেরঢেপা সরকারি নার্সারি কেন্দ্র কাঁঠালিয়া ব্লকের মাইক্রোসারা সরকারি বাগান থেকে কৃষকদের চারা দেওয়া হচ্ছে। জেলার ৭টি ব্লকেই এই যোজনায় নির্বাচিত সুবিধাভোগীদের কাছে ফল ও সব্জির চারা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি জুমেরঢেপা সরকারি নার্সারি কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে এই যোজনায় কৃষকদের সহায়তা দেওয়ার কাজ শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, জিলা পরিষদের কৃষি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা, অন্যান্য সদস্য সদস্যাগণ, উদ্যান পালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ফণীভূষণ জমাতিয়া এবং দপ্তরের উপঅধিকর্তা শান্তনু দেববর্মা। এই অনুষ্ঠান থেকেই জেলার চড়িলাম ব্লকের চেছরিমাই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৩৩টি পরিবারের জন্য ফল ও সব্জির চারা পাঠানো হয়।

জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত পতাকা নেড়ে এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। সিপাহীজলা জেলায় চলতি অর্থবছরে ৩৪ হাজার ১৬৭ পরিবারকে মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনার আওতায় আনা হবে। নির্বাচিত সুবিধাভোগীদের তরমুজ, আনারস, পেঁয়ারা, নারিকেল, আম, কাঁঠাল, পেঁপে, লিচু, সুপারির চারা সহ গোলমরিচ ও বিভিন্ন ধরনের শাকের বীজ দেওয়া হচ্ছে।

জেলায় চলতি অর্থবছরে মোহনভোগ ব্লকে ৪,১৮৯টি পরিবার, কাঁঠালিয়া ব্লকে ৪,৮৯৪টি পরিবার, জম্পুইজলা ব্লকে ৪,৭৭৭টি পরিবার, চড়িলাম ব্লকে ৪,৭৬১টি পরিবার, বিশালগড় ব্লকে ৪,৮২৩টি পরিবার, নলছড় ব্লকে ৪,৭৬৯টি পরিবার ও বক্সনগর ব্লকে ৫,১৫৪টি পরিবার উপকৃত হবেন।

উদ্যান পালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের উপঅধিকর্তা শান্তনু দেববর্মা জানালেন, নির্বাচিত সুবিধাভোগীদের শুধু ফলের চারা, সব্জির বীজ দেওয়াই নয় দপ্তর থেকে তাদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাতে সুবিধাভোগীগণ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে তাদের উৎপাদিত ফল ও সব্জি বাজারে বিক্রি করে রোজগারও বাড়াতে পারেন।

সুপারি ও নারিকেল ছাড়া অন্যান্য যেসব ফলের চারা ও সব্জির বীজ দেওয়া হচ্ছে তা থেকে সুবিধাভোগীগণ একবছরের মধ্যেই উৎপাদন পাবেন। এতে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। নিজেদের চাহিদা যেমন পুরণ হবে উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রয় করেও তাদের রোজগার বাড়বে।

 

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?