অনলাইন ডেস্ক, ২ জুলাই।। দুই যুগ আগে প্যারিসের টানেলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা না ঘটলে ১ জুলাই ষাট বছরে পা দিতেন প্রিন্সেন ডায়ানা। বৃহস্পতিবার দিনটির স্মরণে লন্ডনের কেনসিংটন প্রাসাদে মায়ের মূর্তি উন্মোচন করলেন রাজপুত্র উইলিয়াম ও হ্যারি। রাজ পরিবারের শিল্পী আয়ান র্যাঙ্ক-ব্রাডলের তৈরি ডায়ানার মূর্তিকে ঘিরে রয়েছে তিনটি শিশু। সেবামূলক কাজে মায়ের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০১৭ সালে ডায়ানার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এই মূর্তি তৈরির কথা ভাবেন দুই ভাই।
স্থাপত্যের পাদদেশে ডায়ানার নাম ও মূর্তি উন্মোচনের তারিখ খোদাই করা রয়েছে। তার সামনে একটি পাথরে খোদাই করা রয়েছে ‘দ্য মেজার অব আ ম্যান’ কবিতাটির সারমর্ম। ২০০৭ সালে ডায়ানার স্মৃতিতেই লেখা হয়েছিল কবিতাটি। এ দিনের অনুষ্ঠানের শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে উইলিয়াম-হ্যারি বলেন, ‘‘ভালোবাসা, জীবনীশক্তি, দৃঢ়চেতা মনোভাব এবং আরও যা যা গুণ ছিল মায়ের, তার মধ্যে দিয়েই আশপাশের জীবনকে বদলে দিতে চাইতেন মা। আজ তার ৬০তম জন্মদিন। প্রতিদিন মনে হয়, মা যদি আমাদের কাছে থাকতেন।
এই মূর্তি তার জীবন আর কাজের প্রতীক হয়ে উঠুক।” বছর খানেক আগে ব্রিটেন ছেড়েছেন প্রিন্স হ্যারি। রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থিতু হয়েছেন। প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও আকার-ইঙ্গিতে বোঝা যায় দুই ভাইয়ের সম্পর্কে চিড় ধরেছে। মায়ের মূর্তি উন্মোচনের অনুষ্ঠানকে ঘিরেই ফের কাছাকাছি এলেন দুই ভাই। দাদা প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের পরে দুইভাইকে আর একসঙ্গে দেখা যায়নি।
তাই মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে উইলিয়াম-হ্যারিকে নিয়ে সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহকদের উৎসাহ কম ছিল না। বিশেষ এ অনুষ্ঠান উপলক্ষে চার হাজারেরও বেশি ফুল গাছে সেজে ওঠেছিল রাজপ্রাসাদের বাগান। কেনসিংটন প্রাসাদে থাকার সময়ে এই বাগানে একান্ত সময় কাটাতে পছন্দ করতেন ডায়ানা। ৪০ দিনের বেশি সময় নিয়ে বাগানটি সাজানো হয় প্রিন্সেসের পছন্দের সাদা ও হালকা রঙের ফুলে।
তবে কভিড-বিধি মেনে রাশ টানা হয়েছিল আমন্ত্রিতের তালিকায়। হ্যারি-উইলিয়াম ছাড়া ছিলেন ডায়ানার ভাই-বোনেরা। তবে সদ্যোজাত কন্যাকে নিয়ে ক্যালিফর্নিয়া থেকে আসতে পারেননি হ্যারির স্ত্রী মেগান। উইলিয়ামের স্ত্রী কেট আগেই তিন সন্তানকে নিয়ে ওই মূর্তি দেখে যায়। সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য এই বাগান খুলে দেওয়া হবে সামনে, এ কথা বলা হয়েছে প্রাসাদের পক্ষ থেকে।