অনলাইন ডেস্ক, ১ জুলাই।। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে প্রায় দুই দশক ধরে চলা সামরিক উপস্থিতির পর দেশে ফিরছে যুক্তরাষ্ট্র ও জোট সেনারা। এরই মধ্যে জার্মানি ও ইতালি তাদের বাকি থাকা সেনাদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ও জোটবাহিনী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করবে।
জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আনিগ্রেট ক্রাম্প কেরেনবাউর টুইট বার্তায় জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে সেখানে মোতায়েন থাকার পর, আমাদের সর্বশেষ সেনারা আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ২০০১ সাল থেকে মোতায়েনরত দেড় লাখ জার্মান পুরুষ ও নারী সেনা সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নিজেদের সফলতা নিয়ে তারা গর্বিত হতে পারেন।
আফগানিস্তানে জার্মানির সেনাবাহিনী ৫৯ জন সদস্য হারিয়েছে, যার মধ্যে ৩৯ জন লড়াই বা বিদ্রোহী তালিবানদের হামলায় নিহত হন। ন্যাটো পরিচালিত সামরিক মিশনে জার্মানির ১১০০ সেনা আফগানিস্তানে থেকে যাবে, যারা আফগান সেনাদের প্রতিক্ষণ, পরামর্শ ও রণকৌশলে সহায়তা দেবে। এপ্রিলে বাইডেন ঘোষণা দেন, ২০ বছরের সামরিক সংশ্লিষ্টতার পর আমেরিকান সৈন্যরা ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আফগানিস্তান ত্যাগ করবে। এরপর একই ঘোষণা দেয় ন্যাটো বাহিনী। ঘোষণা অনুযায়ী, ১ মে যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করে।
সে দিন থেকে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে আফগানিস্তানে, নিহত ও আহত হয়েছে অসংখ্য বেসামরিক মানুষ। এ সব কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে, কয়েক মাসের মধ্যে আফগান সরকার ও তার সেনাবাহিনী বেহাল পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।
এ দিকে সেনা প্রত্যাহার পরবর্তী সময়ে এ অঞ্চলে সন্ত্রাসী বিরোধী তৎপরতা চালানোর জন্য পাকিস্তানে ঘাঁটি স্থাপন নিয়ে সম্প্রতি তৎপরতা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু প্রস্তাবটি শুরুতেই নাকচ করে দেয় ইসলামাবাদ। কয়েক দিন আগে মার্কিন পত্রিকায় নিজের লেখা নিবন্ধে সেই সিদ্ধান্ত পুনরায় ব্যক্ত করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।