অনলাইন ডেস্ক, ২৯ জুন।। বিক্ষোভ, অনলাইন পিটিশন, মামলা ও ছোটখাট অগ্নিকাণ্ডকে হটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাম স্প্রিংস শহরের আর্ট মিউজিয়ামের সামনে স্থাপিত হলো মেরিলিন মনরোর ভাস্কর্য।
সমালোচকেরা বলে আসছিলেন, ‘হাইপার-সেক্সুয়ালাইজড’ এ মূর্তি প্রয়াত হলিউড অভিনেত্রী বা শহরের ঐতিহ্যের জন্য অপমানজনক।
সিএনএন জানায়, ২৬ ফুট উঁচু ‘ফরএভার মেরিলিন’ নামের মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন প্রয়াত শিল্পী সেওয়ার্ড জনসন। রবিবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার প্রতি সম্মান জানায় সিটি কাউন্সিলের সদস্যরা।
শিল্পীকর্মটি নির্মাণ হয়েছে ‘দ্য সেভেন ইয়ার ইঞ্চ’ সিনেমার অতিচর্চিত দৃশ্যের আদলে। যেখানে মেরিলিনের স্কার্ট বাতাসে উড়ছে, তিনি হাত দিয়ে ধরে রেখেছেন, তারপরও অন্তর্বাস উঁকি দিচ্ছে। যা পপ কালচারের আইকনিক দৃশ্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসলেও বরাবরই নানান দৃষ্টিকোণ থেকে বিতর্কিত।
দিন দশেক আগে অগ্নিকাণ্ডের মুখে পড়ে ভাস্কর্যটি। তবে উদ্বোধনের আগেই সারিয়ে ফেলা হয় ক্ষতিগ্রস্ত অংশ।
জমকালো এ আয়োজনের জন্য স্থানীয় এয়ার মিউজিয়াম থেকে ধার করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত একটি বিমান।
এ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন না আট মিউজিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ কেউ। কিছুদিন আগে ওঠা বিতর্কে মূর্তি স্থাপনের বিরোধিতা করেছিলেন জাদুঘরের সাবেক চার পরিচালক। তাদের মধ্যে লিজ আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, এটি পাম স্প্রিংসের অস্তিত্বের লড়াই।
এ মূর্তি কীভাবে শহরের প্রতিনিধিত্ব করে? জাদুঘর থেকে বের হয়ে দর্শক দেখবে প্যান্টি বের হয়ে আসা দানবীয় মূর্তি, এটি অসম্মানজনক যেন মুখে চড় মেরে বসেছে কেউ।
মূর্তি স্থাপন নিয়ে দুইভাগ হয়ে পড়েছিলেন শহরের বাসিন্দারা। অনেক বাসিন্দা মনে করেন, মূর্তিটি দেখলে খুশি হতেন না বিখ্যাত নায়িকা। যেমনটি তারাও খুশি নন। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা মনে করেন, করোনার ক্ষতির মাঝে পপ কালচারের এই আইকন পর্যটকদের আকর্ষণ করবে, ব্যবসাও বাড়বে।
শিল্পকর্মটি বেশ আগেই তৈরি। প্রায় ১০ লাখ ডলারে কিনে নিয়েছেন পাম স্প্রিংসের ব্যবসায়ীরা।
মূর্তিটির নান্দনিকতা খারিজ করে অনেকে যৌনতার প্রতীক হিসেবে দেখেন। বিষয়টি নিয়ে ‘মি টু মেরিলিন’ হ্যাশট্যাগে এক পিটিশনে লাখ খানেকের মতো স্বাক্ষর পাওয়া যায়, তারা মূর্তিটি প্রদর্শনে আপত্তি জানিয়েছেন।
তবে শেষ পর্যন্ত সিটি কাউন্সিলের ভোটাভুটিতে মূর্তিটি স্থাপিত হলো। আর সে দিনও অনুষ্ঠানস্থলে দেখা মেলে বিরোধীপক্ষের। প্রতিবাদকারীরা জানান, তারা হাল ছাড়বেন না।