অনলাইন ডেস্ক, ২৯ জুন।। রোমাঞ্চ আর উত্তেজনায় ঠাসা আরো একটি ম্যাচ! ফ্রান্সের ‘ফুটবল শক্তি’র প্রদর্শনীর বিপরীতে সুইজারল্যান্ডের পাল্টা জবাব। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে জয় তাদেরই। কিলিয়ান এমবাপ্পের গোল মিসই যেখানে গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য।
সোমবার রুমানিয়ার বুখোরেস্টে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ সমতায় শেষ হয়। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে কোনো দল গোল না পেলে টাইব্রেকারে গড়ায় খেলা। যেখানে ৫-৪ গোলে জয় সুইজারল্যান্ডের। সুবাদে ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পায় দলটি।
করিম বেনজেমা, পল পগবারা এক পর্যায়ে ম্যাচের ভাগ্য নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন অনেকটা। কিন্তু তখনই সুইসদের নাটকীয়ভাবে ম্যাচে ফেরা। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ। এমবাপ্পে ফ্রান্সের পক্ষে শেষ পেনাল্টিটি মিস করতেই আনন্দে মাতোয়ারা সুইসরা। বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলে ২০১০ সালের পর এই প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ ফ্রান্স।
ম্যাচে প্রথম উৎসবটা করে সুইজারল্যান্ডই। ১৫ মিনিটে হারিস সেফেরোভিচ হেডে বল জালে জড়ালে এগিয়ে যায় দলটি। প্রথমার্ধ তারা শেষ করে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই।
দ্বিতীয়ার্ধে ফের এগিয়ে যাওয়ার বড় সুযোগ হাতে আসে সুইসদের। কিন্তু ৫৫ মিনিটে রদ্রিগেজের নেওয়া পেনাল্টি রুখে ফ্রান্সকে ম্যাচে রাখেন গোলরক্ষক ও অধিনায়ক হুগো লরিস।
ঠিক এরপরই মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করেন করিম বেনজেমা। তাতে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৭৫ মিনিটে ডি-বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে দেখার মতো এক গোল করেন পল পগবা। তাতে ৩-১ এ লিড পায় দিদিয়ের দেশমের দল।
তবে ফ্রান্সের এই দাপুটে কামব্যাকেও হাল ছাড়েনি সুইজারল্যান্ড। বরং তারাও ফিরে আসার দারুণ গল্প লিখে। ৮১ মিনিটে সেফেরোভিচ নিজের দ্বিতীয় গোল আদায়ের পর ৯০ মিনিটে মারিও গাভরানোভিচ জাল খুঁজে নেন। তাতে সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা।