স্টাফ রিপোর্টার, কৈলাসহর, ২৬ জুন।। কৈলাশহর পুর পরিষদ এলাকায় এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। বেকারত্বের জ্বালায় গত বেশ কিছুদিন ধরে সে নেশাগ্রস্ত হয়ে থাকতো বলে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে মানসিক অবসাদ থেকেই সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। কৈলাসহর পুর পরিষদের চৌদ্দ নং ওয়ার্ডের সোনামুড়া এলাকায় একুশ বছরের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে।
গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কৈলাসহর থানার পুলিশ এবং টি.এস.আর বাহিনী। ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়, সোনামাড়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা সুখেন্দ্র দাশের একুশ বছরের দ্বিতীয় পুত্র সুব্রত দাশ প্রতিদিনের মতো গতকাল রাতেও নিজ বাড়িতে ভাত খাওয়ার পর রাত এগারোটা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়ে।
সকালবেলা বাড়ির সবাই ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় ঘরের দরজা খোলা এবং বিছানায় সুব্রত নেই। সংগে সংগেই পরিবারের সদস্যরা সুব্রত দাশকে খোঁজতে শুরু করেন এবং পাশের বাড়ির বাবলু মালাকারের পুকুরের পাশের পেয়ারা গাছে ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। সংগে সংগেই পরিবারের পক্ষ থেকে কৈলাসহর থানায় খবর দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে কৈলাসহর থানার পুলিশ অফিসার জোতিষ দাশের নেতৃত্বে পুলিশ এবং টি.এস.আর বাহিনী ঘটনা স্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। মৃতদেহ কৈলাসহরের ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
মৃত সুব্রত দাশের বড় ভাই জানান যে, সুব্রত কেন যে এই কাজ করলো সেটা পরিবারের কেউ বুঝতে পারছে না। সুব্রত গত এক বছর পূর্বে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অনুওীর্ন হয়ে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিল।
ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে কৈলাসহর থানার পুলিশ অফিসার জোতিষ দাশ সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত যে আত্মহত্যা করেছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে বাকিটা বিস্তারিত জানা যাবে। এলাকা সূত্রে জানা যায় যে, মৃত সুব্রত দাশ ইদানীংকালে বহিরাগত বখাটে যুবকদের সাথে চলাফেরা করতো ।
এমনকি নেশাও করতো। পরিবারে এনিয়ে ইদানীংকালে ঝগড়া বিবাদও হয়েছে। পারিবারিক বিবাদের জেরেই সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে।