অনলাইন ডেস্ক, ২৭ জুন।। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মায়ামিতে ধসে পড়া ভবনটির বিষয়ে ২০১৮ সালেই সতর্ক করা হয়েছিল মালিকপক্ষকে।
বিবিসি জানিয়েছে, তিন বছর আগে ইঞ্জিনিয়ারদের তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হয় সমুদ্রের তীরবর্তী চ্যাম্পলেইন টাওয়ারের নিচে পানি নিষ্কাশনের জায়গায় ত্রুটি আছে।
বৃহস্পতিবার যখন ভবনটির বেশিরভাগ বাসিন্দাই ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন একটি অংশ ধসে পড়ে।
পাঁচজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ১৫৯ জনকে জীবিত পাওয়ার আশা ক্রমশই কমছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আগুন লেগে যাওয়ায় শনিবার উদ্ধারকাজেও বিপত্তি ঘটে।
দুর্ঘটনার পর ভবনটি নিয়ে একের পর এক নথি বের হয়, যার মধ্যে ছিল ভবনটির কনসালট্যান্টদের একটি প্রতিবেদন।
ইঞ্জিনিয়ার ফ্রাঙ্ক মোরাবিটো বলেন, যথাযথ ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল না।
তার রিপোর্টে বলা হয়েছে, আসল চুক্তির কাগজে এই পদ্ধতিগত ইস্যুটির উল্লেখ ছিল, যেটা পুরো ঘটনার শুরু হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সুইমিংপুলের নিচের সিমেন্টের ভিত্তিকে তিনি ‘বড় ধরনের কাঠামোগত বিপর্যয়’ হিসেবে দেখছেন।
তিনি লিখেছিলেন, ‘পানি বের হতে না পেরে খুব শিগগিরই কংক্রিটের অবস্থার অবনতি ঘটাতে পারে এবং এই কাঠামো প্রসারিত হতে থাকবে। ’
এই ইঞ্জিনিয়ার পার্কিং গ্যারেজের দিকে কলাম, বিম ও দেয়ালে প্রচুর ফাটলের কথাও উল্লেখ করেছেন।
৪০ বছর পুরোনো এই বিল্ডিং যে সহসাই ধসে পড়বে এমন কিছু ছিল না রিপোর্টে, কিন্তু কংক্রিটের যেসব জায়গায় অবনতি হয়েছে সময়মতো ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ ছিল।