অনলাইন ডেস্ক, ২৭ জুন।। ইউরোর মঞ্চে আরো একটি দুর্দান্ত ম্যাচ উপহার দিল ডেনমার্ক। তাদের অসাধারণ ফুটবলে রীতিমতো বিধ্বস্ত হতে হলো ওয়েলসকে। আর দারুণ খেলে আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলল ড্যানিশরা। শনিবার শেষ ষোলোর প্রথম ম্যাচে গ্যারেথ বেলের ওয়েলসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসনের ডেনমার্ক। আমস্টারডামের ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ডেনমার্কের পক্ষে জোড়া গোল করেছেন কাসপের ডলবার্গ। আসরে এদিনই প্রথম শুরুর একাদশে খেলতে নেমেছিলেন তিনি।
অন্য গোল দুটি করেন ইওয়াখিম মেইল ও মার্টিন ব্র্যাথওয়েট। ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন নামটা চলতি আসরে ডেনমার্কের ফুটবলারদের অনুপ্রেরণার বড় উৎসব। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফিনল্যান্ডের কাছে হারে ১৯৯২ আসরের চ্যাম্পিয়ন ডেনমার্ক। ওই ম্যাচ চলাকালীন হার্ট অ্যাকাটে মাঠেই লুটিয়ে পড়েছিলেন এরিকসেন। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন এরিকসেন। তবে কবে মাঠে ফিরতে পারবেন তা নিশ্চিত নয় এখনো। সেই এরিকসেনের শুভেচ্ছাকে পাথেয় করে গ্রুপ পর্বে দুটি ম্যাচ হেরেও প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছতে সক্ষম হয় ড্যানিশরা।
‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে রাশিয়ার বিপক্ষে পাওয়া তাদের বড় জয় তা সম্ভব করে। এদিন বেলদের বিপক্ষে শুরু থেকেই বলের দখল নিজেদের কাছে রাখছিল ডেনমার্ক। নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পাস খেলে ওয়েলসের রক্ষণভাগকে বারবার চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছিল দলটি। ২৭ মিনিটে প্রথম সাফল্যও পেয়ে যায় তারা। কাসপের ডলবার্গ গোল করে এগিয়ে দেন ডেনমার্ককে।
প্রথমার্ধে গোল পরিশোধের একাধিক সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি গ্যারেথ বেলের ওয়েলস। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। গোল শোধে প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণে উঠতে থাকে ওয়েলস। যদিও সফলতা আসেনি। উল্টে ৪৮ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করেন ডলবার্গ। ডেনমার্ক এগিয়ে যায় ২-০ তে। ম্যাচের বাকি সময়ে গোল শোধ করার সহজ সুযোগগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় ওয়েলস। উল্টো ৮৮ মিনিটে গোল করে ডেনমার্কের শেষ আট অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলেন ইওয়াখিম মেইল।
যোগ করা সময়ে ব্যবধান ৪-০ করেন মার্টিন ব্র্যাথওয়েট। শেষ দিকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় ওয়েলসের হ্যারি উইলসনকে। অবশ্য ম্যাচের ভাগ্য ততক্ষণে নির্ধারণ হয়ে গেছে।