অনলাইন ডেস্ক, ২৬ জুন।। নব্বইয়ের দশকের বলিউডের অন্যতম অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর। একের পর এক সফল ছবি করে ক্যারিয়ার যখন তুঙ্গে তখনই বেছে নিলেন অন্য অভিনেত্রীদের ফিরিয়ে দেওয়া চরিত্র। তাও আবার পার্শ্ব অভিনেত্রীর। সে যাত্রায় সফলই বলা যায়, জিতে নেন জাতীয় পুরস্কার। ২৫ জুন কারিশমার জন্মদিনে সে কথা শোনা যাক আবারও।
বুঝতেই পারছেন ছবির নাম ‘দিল তো পাগল হ্যায়’। পরিচালক ইয়াশ চোপড়া একে একে সে সময়ের সেরা পাঁচ অভিনেত্রীর কাছে যান প্রস্তাব নিয়ে। বলিউডের প্রভাবশালী এ প্রযোজক ও পরিচালক কারোই সম্মতি আদায় করতে পারেননি।
ফিরিয়ে দেওয়ার কারণও যথার্থ। কারণ মুখ্য চরিত্রে ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। আর নায়ক শাহরুখ খান। ১৯৯৭ সালের ৩১ অক্টোবর মুক্তি পায় ‘দিল তো পাগল হ্যায়’। সবার মন জয় করেন ছবির তিন তারকা।
অথচ ছবিতে থাকার কথা ছিল না কারিশমার। এই চরিত্রে কাজল, রাভিনা ট্যান্ডন, ঊর্মিলা মাতন্ডকর, জুহি চাওলা ও মনীষা কৈরালার দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইয়াশ।
মাধুরী প্রধান নায়িকা একটা বিষয় বটে। তার ওপর চিত্রনাট্য পছন্দ হয়নি কারো। শাহরুখের সঙ্গে সেভাবে কোনো দৃশ্য নেই, ছবির দ্বিতীয়ার্ধে উল্লেখ করার মতো গল্পও নেই এ দ্বিতীয় নায়িকা। সেই চরিত্রে অভিনয় করেন কারিশমা। সবাইকে অবাক করে দিয়ে পেয়ে যান পার্শ্ব অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার।
এ ছবিতে ক্যামিও রোলে অভিনয় করেন অক্ষয় কুমার। তাকে ছবির শুরুর ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ গান ও শেষ দিকের কিছু দৃশ্যে দেখা যায়।
নাচ-গানে ভরপুর রোমান্টিক সিনেমাটির বাজেট ৯ কোটি টাকা, আর আয় ছিল প্রায় ৬০ কোটি টাকা। দর্শকদের পাশাপাশি অর্জন করে সমালোচকদের প্রশংসা। জাতীয় পুরস্কার জেতে মোট তিন বিভাগে। এ ছাড়া ফিল্মফেয়ারে জেতে সাতটি পুরস্কার। এর মধ্যে আছে সেরা অভিনেতা (শাহরুখ খান), সেরা অভিনেত্রী (মাধুরী দীক্ষিত) ও সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (কারিশমা কাপুর)।