স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২২ জুন।। রাজ্যের কর্মচারীদের ‘অ্যাডহক’ ভিত্তিতে এককালীন প্রমোশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি জানান, সুপ্রিমকোর্টে কর্মচারীদের পদোন্নতিতে সংরক্ষণ নিয়ে মামলা চলার কারণে রাজ্যের কর্মচারীদের প্রমোশন দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে প্রশাসনের বিভিন্ন কাজে সমস্যা হচ্ছিল। সরকারের কাজকর্মে আরও গতি আনার লক্ষ্যে এবং রাজ্যের তফশিলী জাতি, তফশিলী উপজাতি ও সাধারণ ক্যাটাগরির সমস্ত কর্মচারীদের স্বার্থে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে। শিক্ষামন্ত্রী জানান, কর্মচারীরা হল রাজ্য প্রশাসনের সৈনিক। রাজ্যের কর্মচারীদের অগ্রণী ভূমিকা ছাড়া এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা কখনও গড়া যাবে না৷
দেখা গেছে প্রমোশন না পেয়ে অনেক কর্মচারী অবসরে যাচ্ছিলেন। আগামীদিনে সুপ্রিমকোর্টের রায় কি হবে তাও অনিশ্চিত। এমন অবস্থায় রাজ্যের কর্মচারীদের সুপ্রিমকোর্টের চূড়ান্ত রায়ের সাপেক্ষে এককালীন অ্যাডহক প্রমোশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের সিনিয়রিটি লিস্ট অনুযায়ী বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে এই প্রমোশন দেওয়া হবে৷ শর্ত অনুসারে সুপ্রিমকোর্টের চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত এই প্রমোশন হবে সম্পূর্ণ অ্যাডহক ভিত্তিতে। যদি দেখা যায় কোনও কর্মচারীর ২-৩টি পদে প্রমোশন আটকে ছিল সেক্ষেত্রে তাকে একটি প্রমোশন দেওয়া হবে।
যদি দেখা যায় প্রমোশন দিতে গিয়ে এস সি, এস টি এবং ইউ আর কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটে তখন দপ্তর সুপারনিউমারেরি পদ সৃষ্টি করে তাকে প্রমোশন দিতে পারবে। অ্যাডহক প্রমোশনের মাধ্যমে নিয়োগকে নিয়মিত প্রমোশন নিয়োগ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, আইন দপ্তর, অর্থদপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরের পরামর্শ নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি দ্রুত কার্যকর করার জন্য মুখ্যসচিব কুমার অলক আজই বিভিন্ন দপ্তরের সচিবদের নিয়ে সভা করেছেন।