স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২২ জুন।। বাল্যবিবাহ আইনগত ভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হওয়া সত্বেও একাংশের মানুষজন বাল্যবিবাহের উৎসাহ যুগিয়ে চলেছে। রাজধানী আগরতলা শহর এলাকার চন্দ্রপুর জামতলা এলাকায় নাবালিকার বিয়ে ভেঙ্গে দিল চাইল্ড লাইন ও পুলিশ। বাল্যবিবাহ রোধে কঠোর আইনের সংস্থান রয়েছে। অথচ আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে বাল্যবিবাহের প্রবণতা আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এখনও অব্যাহত রয়েছে।
সুদূর গ্রাম পাহাড়ে নয়, রাজধানী আগরতলা শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকাতেও বাল্যবিবাহ অব্যাহত রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সচেতন নাগরিকদের প্রচেষ্টায় চাইল্ড লাইন ও পুলিশ এসব বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিতে সক্ষম হচ্ছে। সোমবার রাতেও রাজধানী আগরতলা শহর সংলগ্ন চন্দ্রপুর জামতলা এলাকায় এক নাবালক নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে চাইল্ড লাইন ও পুলিশ। সংবাদসেত্রে জানা যায়, গোপন খবরের ভিত্তিতে চাইল্ড লাইনের কর্মকর্তারা মহিলা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে জামতলা এলাকার একটি বাড়িতে হানা দেয়। ওই বাড়িতে এক নাবালিকা ও এক নাবালকের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল।
চাইল্ড লাইন ও পুলিশ ওই বাড়িতে হানা দিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে ।এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নাবালিকার আত্মীয় স্বজনরা জানান নাবালিকার মা গৃহপরিচারিকার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তার স্বামী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। এমতাবস্থায় নাবালিকা কন্যার সঙ্গে অপর এক নাবালকের প্রনয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এমনকি গত কয়েকদিন আগে নাবালিকাকে নিয়ে পালায় ওই নাবালক।
সে কারণেই পাড়া পরশি ও আত্মীয়-স্বজনরা তাদেরকে সামাজিকভাবে বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। এক্ষেত্রে আইন-কানুনের কোনো তোয়াক্কা করেননি তারা। কিন্তু তাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।চাইল্ড লাইনের সদস্যরা জানান, উপয় পরিবারকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে এ ধরনের চেষ্টা পুনরায় করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবশ্য নাবালক ও নাবালিকার পরিবারের লোকজনরা বিয়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছে।