অনলাই ডেস্ক, ২১ জুন।। ইউরো কাপে সবার আগে শেষ ষোলো নিশ্চিত করা ইতালি ‘এ’ গ্রুপের সেরা হয়েই পা রাখল নটআউটের লড়াইয়ে। ১০ জনের ওয়েলসকে তারা হারাল সহজেই। অন্যদিকে হেরেও গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে পরের পর্বের টিকিট পেল গ্যারেথ বেলের ওয়েলস। রবিবার রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোয় ১-০ গোলে জয় তুলে নেয় ইতালি।
সুবাদে ৩ ম্যাচের সবকটিতে জিতে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হয় দলটি। অন্যদিকে একটি করে জয়, ড্র ও হারের ফলে ওয়েলস ও সুইজারল্যান্ডের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও গোল পার্থক্যে গ্রুপ রানার্সআপ হয় ওয়েলস। ছিটকে যায় সুইজারল্যান্ড। যারা এদিন একই সময়ে তুরস্ককে হারায় ৩-১ গোলে। তুরস্ক তিন ম্যাচের সবগুলো হেরে শূন্য হাতে আসর শেষ করল।
ওয়েলসকে হারিয়ে এদিন টানা ৩০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে অপরাজিত থেকে অনন্য রেকর্ডের মালিকও হল ইতালি। প্রথম থেকেই যারা প্রাধান্য বিস্তার করে খেলছিল। নকআউট পর্বের আগে শিষ্যদের বিশ্রাম দিতে আগের ম্যাচের শুরুর একাদশে আটটি পরিবর্তন আনেন কোচ রোবের্তো মানচিনি। শুরুতে তারা নিজেদের গুছিয়ে নিতে একটু সময় নেয়।
৪-৩-৩ ছকে ফুটবলারদের খেলিয়েছেন আজুরিদের কোচ মানচিনি। নিজেদের মানিয়ে নিয়ে যারা পরে দুর্দান্ত বোঝাপোড়ায় বারবার ওয়েলসের ডি বক্সে ঢুকে পড়েন। আন্দ্রেয়া বেলত্তি, ফেদেরিকো কিয়েজা, ফেদেরিকো বের্নারদেস্কির নৈপুণ্যে প্রথমার্ধেই একাধিকবার গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলে ইতালি।
অন্যদিকে ৩-৪-৩ ছকে প্রতি আক্রমণ নির্ভর রণনীতি নিয়ে ম্যাচে বাজিমাত করার চেষ্টা করে ওয়েলস। তাতে খুব একটা কাজের কিছু হয়নি। কারণ ম্যাচের প্রথমার্ধে সেভাবে সুযোগই তৈরি করতে পারেনি গ্যারেথ বেলের দল। অন্যদিকে ইতালির লাগাতার আক্রমণের মুখে একসময় ভেঙে পড়ে ওয়েলসের রক্ষণ দুর্গ। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে প্রতিপক্ষের ডি বক্সের ঠিক বাইরে সেট পিস পেয়ে যায় আজুরিরা। মার্কো ভেররাত্তির সাজিয়ে দেওয়া বলে পা ছুঁয়ে ইতালিকে এগিয়ে দেন মাত্তেও পেসসিনা।
দ্বিতীয়ার্ধে ইতালির আক্রমণের ঝাঁজ আরো বাড়ে। প্রতি আক্রমণে উঠে বেশ কয়েকবার গোলের খুব কাছে পৌঁছে ওয়েলসও। তবে শেষ পর্যন্ত খেই হারিয়ে ফেলেন বেলরা।
ওয়েলসের রক্ষণভাগে চাপ বাড়াতে থাকে ইতালি। চাপে পড়ে জঘন্য ফাউল করে বসেন ওয়েলসের সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার ইথান আম্পাডু। ৫৫ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখে তাকে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়।
ম্যাচের শেষ ৪৫ মিনিটে দশ জনের ওয়েলসকে চেপে ধরার সুযোগ পেয়েও তার সদ্ব্যবহার করতে পারেনি ইতালি। একাধিক গোলের সুযোগ আজুরিরা নষ্ট করে। উল্টো গোল খাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলে চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে দলটি।