অনলাইন ডেস্ক, ১৯ জুন।। জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভান বৃহস্পতিবার বলেন, “নেতাদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে পরিষ্কার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে যে, হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তুরস্ক নেতৃত্বের ভূমিকা নেবে এবং সেটা কীভাবে বাস্তবায়িত করা যায় তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। ”
বেশ কয়েক দিন ধরে কাবুল বিমানবন্দরে তুরস্কের উপস্থিতি নিয়ে কথা চললে। সুলিভানের এমন মন্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।
ভয়েস অব আমেরিকাকে তিনি বলেন, দেশের বিমান বন্দর ও অন্যান্য স্থান পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব হচ্ছে আফগানদের।
মুজাহিদ বলেন, “বিমানবন্দরের নিরাপত্তার অজুহাতে যদি বিদেশি বাহিনী সামরিক উপস্থিতি বহাল রাখতে চায়, তা হলে আফগানরা সেটা হতে দেবে না এবং তাদের দখলদার হিসেবেই দেখবে, তা তুরস্কই হোক বা অন্য যে কোন দেশ। ”
সঙ্গে জোর দিয়ে বলেন, তালিবান তুরস্কের সঙ্গে ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক’ রাখছে এবং ‘ইসলামী রাষ্ট্রটির সঙ্গে ভ্রাতৃসুলভ সম্পর্ক রাখতে চায়’।
তালিবান শুক্রবার বলেছে, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোবাহিনী যাওয়ার পর আফগানিস্তানে কোন বিদেশি বাহিনী থাকার বিষয়ে তাদের বিরোধিতা তুরস্ককে এরই মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিবৃতির ঠিক একদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান সোমবার বৈঠকে সহমত হন যে সৈন্য প্রত্যাহারের পরও কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা প্রদান করবে তুরস্ক।
এর আগে সেনাদের আফগানিস্তান ত্যাগ পরবর্তী অবস্থায় সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানে বিমান ঘাঁটি স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখায়নি পাকিস্তান। পরে যুক্তরাষ্ট্রও আলোচনা এগিয়ে নেয়নি।