অনলাইন ডেস্ক, ১৮ জুন।। ভারতের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ব্রিটেনের পরিস্থিতি যখন দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের চিন্তার কথা জানিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) আগেই ডেল্টা স্ট্রেইনকে ‘ভ্যারিয়্যান্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। স্লেভিট বলেন, ‘এটি আরও ক্ষতিকর স্ট্রেইন। যেন স্টেরয়েড নিয়েছে কভিড।
হয়তো সামান্য সময় আপনি লোকজনের মাঝে কাটাচ্ছেন কিন্তু তাতেই সংক্রামিত হয়ে যেতে পারেন।’ এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের ১০ শতাংশ ডেল্টা স্ট্রেইনে সংক্রমিত। কিন্তু সংখ্যাটা খুব দ্রুত গতিতে বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জো বাইডেন সরকারের আর এক বিশেষজ্ঞ সার্জন জেনারেল বিবেক মূর্তি। তার কথায়, ‘হাতে থাকা নথিপত্র বলছে, এই স্ট্রেইনে আক্রান্তদের ভুগতে হচ্ছে অনেক বেশি।
বিষয়টাকে ভাল করে বুঝতে হবে। এটা ভেবে দেখা উচিত, কেন ব্রিটেনে এটাই প্রধান সংক্রামক স্ট্রেন হয়ে উঠেছে।’ গত কয়েক সপ্তাহে ব্রিটেনে দ্রুত গতিতে বেড়েছে ডেল্টা স্ট্রেইনে সংক্রমণ। একটি নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতি ১১ দিন অন্তর করোনা-সংক্রমিতের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে সে দেশে। আর সেই সঙ্গে এটি হয়ে উঠেছে সে দেশের মূল সংক্রামক স্ট্রেইন।
ইম্পেরিয়াল কলেজ অব লন্ডন বিষয়টি ‘রিয়েল-টাইম অ্যাসেসমেন্ট অব কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করে দেখেছে। তারা ২০ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ১ লাখ সোয়াব টেস্ট করেছে। দেখা গেছে ০.১৫ শতাংশের শরীরে মারণ ভাইরাসটি রয়েছে। এ ভাবেও বলা যায়, ৬৭০ জনের মধ্যে ১ জনের শরীরে ভাইরাসটি পাওয়া গেছে।