অনলাইন ডেস্ক, ১৮ জুন।। ৪৮ ঘণ্টা না পেরোতেই ফিলিস্তিনের গাজা লক্ষ্য করে ইসরায়েল ফের বিমান হামলা চালাচ্ছে, হামলা অব্যাহত থাকবে বলেও দখলদাররা জানিয়ে দিয়েছে। ইসরায়েল দাবি করছে, তাদের হামলায় গাজায় হামাসের একটি দপ্তর এবং রকেট লঞ্চিং প্যাড ধ্বংস হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলের অভিযোগ, আগের মতোই হামাস আগুনের গোলা ভর্তি বেলুন ইসরায়েল লক্ষ্য করে পাঠায়েছিল। এতে দক্ষিণাঞ্চলের আটটি স্থানে আগুন ধরে যায়। এর জবাবে পাল্টা আঘাত হানে তারা। সব মিলিয়ে বেলুন ছোড়ার জেরে ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধান আরেকবার ফিলিস্তিনে হামলা চালাল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গাজা স্ট্রিপ লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ও বিমান হামলা চালানো হয়। এর আগে বুধবার ভোরে আরেক দফা হামলা চালায়।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সেনাপ্রধান আভিভ কোহাভি। হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে আইডিএফ হামলা চালিয়ে যাবে।এর আগেও একাধিকবার হামাস আগুনের গোলা ভরা বেলুন পাঠিয়ে ইসরায়েলের খেত জ্বালিয়ে দিয়েছিল। আগুন লাগিয়ে দেয় অনেক বাড়িতে। হামলা নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য বা বিবৃতি প্রকাশ করেনি হামাস। তবে তারাও পাল্টা রকেট হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানায় গাজায় অবস্থান নেওয়া সাংবাদিকেরা।
এ পরিস্থিতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন টুইট করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাপিদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দিক থেকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা আমেরিকার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসরায়েলকে সব রকম সাহায্য করা হবে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, নতুন করে এই সংঘাত ফের যুদ্ধের আবহের দিকে যেতে পারে। হামাস পাল্টা আক্রমণ শুরু করলে ইসরায়েলের আক্রমণও আরও বাড়বে। ফের সাধারণ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা তৈরি হবে। এর আগে গত মাসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
টানা ১১ দিন সংঘর্ষের পর গত ২১ মে এই সংঘর্ষ থামে। ওই সংঘর্ষে শিশুসহ কমপক্ষে ২৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর ফিলিস্তিনের হামলায় নিহত হয়েছে ১৩ ইসরায়েলি। শেষ পর্যন্ত মিসরের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। দুই সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ফের তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল।