স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৬ জুন।। গণমুক্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য চন্দ্রহংস জমাতিয়া গত ৮ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন৷ বুধবার ভানু স্মৃতি ভবনে চন্দ্রহংস জমাতিয়ার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে স্মরণসভায় শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়৷
তিনি উদয়পুর মহকুমার কমিটি সম্পাদক ছিলেন৷ মাত্র ৫১ বছর বয়সে অকাল মৃত্যু হয়েছে উনার৷ জিবি কোভিড সেন্টারে সঠিক পরিষেবার অভাবে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ৷ জিবি হাসপাতালে সঠিক পরিষেবা পাননি তিনি৷ ভিডিও কলিং-এর মাধ্যমে তিনি পরিষেবার চিত্র তুলে ধরেছেন৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়েছে বলে স্মরণসভায় অভিযোগ তুললেন চন্দ্রহংস জমাতিয়ার পরিবার৷
এদিন স্মরণসভায় উপস্থিত প্রধান বক্তা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বক্তব্য রেখে বলেন, চন্দ্রহংস জমাতিয়া কোন আকাশ থেকে পড়েননি৷ ছাত্রজীবন থেকে তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে সমাজের স্বার্থে কাজ করেছেন৷ পরবর্তী সময় তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হয়ে দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেন৷ তিনি সংগঠনের একের পর এক গুরু দায়িত্ব পালন করে গেছেন৷
সুতরাং তিনি নিজের যোগ্যতা এবং দক্ষতায় তাকে ভালো একটি জায়গায় নিয়ে তুলে ধরেছিলেন৷ তাই তিনি আকাশ থেকে পড়েননি বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বিরোধী দলনেতা৷ তিনি বলেন, চন্দ্রহংস জমাতিয়ার দেখানো পথে নবীন কর্মীদের এগিয়ে যেতে হবে৷ কারণ তিনি মার্কসবাদের চেতনা থেকে লেনিনের চেতনায় নিজেকে তুলে ধরেছিলেন৷
আর সেই দিশায় এগোতে হবে রাজ্যের নতুন মার্কসবাদী কর্মীদের৷ যদিও বর্তমান জোট সরকারের আমলে রাজ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই খারাপ এবং দেশের অবস্থাও অনেকটাই দিশাহীন৷ কিন্তু তাতে কর্মীদের হতাশায় ভুগলে হবে না৷ পূর্বেও এ ধরনের পরিস্থিতি এসেছিল৷ তবে এ পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী নয়৷ সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে বলেই আশা ব্যক্ত করলেন এদিন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার৷
এদিকে গণমুক্তি পরিষদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাধাচরণ দেববর্মা রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবার উপর আঙুল তুলে বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা চন্দ্রহংস জমাতিয়াকে সঠিকভাবে দিতে না পারায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে৷ সরকারের অপদার্থতার জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই অবস্থা৷ গত তিন বছরে রাজ্যে একটিও নতুন হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়নি৷
হাসপাতাল গড়ে তোলা তো দূরের কথা, রাজ্যের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীর যেসব শূন্যপদ রয়েছে সেগুলো পূরণ করা হচ্ছে না৷ চন্দ্রহংস জমাতিয়ার মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি৷ এদিন স্মরণসভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রহংস জমাতিয়ার সহধর্মিনী এবং কন্যা সহ গণমুক্তি পরিষদের সভাপতি জিতেন্দ্র চৌধুরী৷