স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৬ জুন।। বুধবার দুদিনের রাজ্য সফরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বোম্বরাবেট্টূর লক্ষ্মী জনার্দন সন্তোষ এর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বুধবারের সকালের বিমানে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখানে তাদেরকে দলের পক্ষ থেকে উষ্ণ সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।
দুদিনের রাজ্য সফরে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা ত্রিপুরার প্রভারি বিনোদ সোনাকর, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাধারন সম্পাদক অজয় জাম্বুয়াল । বুধবার সকালে ১০টা৫০ মিনিটের বিমানে আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব।
রাজ্যে পৌছেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য কার্যালয়ে চলে আসেন। দলীয় শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। দলীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে ,রাজ্যের চারজন মন্ত্রী রতন লাল নাথ, প্রণজিত সিংহ রায় ,মনোজ কান্তি দেব এবং সান্তনা চাকমা সঙ্গে দলীয় কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠক করেন। তারপর অন্যান্য বিধায়কদের সঙ্গেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বৈঠক করেন।
দিল্লির নির্দেশে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদেরকেও যথারীতি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কোন বিধায়ককে কোন সময় মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে হবে তার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।বিধায়কদের সঙ্গে গ্রুপ মিটিং শেষে সমস্ত বিধায়কদের একসঙ্গে করে পুনরায় বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিজেপির জোট সঙ্গী আইপিএফটির দুই মন্ত্রী নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা এবং মেবার কুমার জমাতিয়া সহ তাদের অন্যান্য নেতৃত্বদের সঙ্গেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বৈঠক করেন। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং সেখানেই ডিনার হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
রাজ্যে বিজেপির নেতাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ যে কোন্দল দেখা দিয়েছে তার ফয়সালা করার লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রাজ্য সফর বলে জানা গেছে।
দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিজেপি রাজ্য কার্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রী উপমুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। রাজ্য অতিথিশালায় সর্বশেষ বৈঠক হবে।বিজেপি প্রদেশ সভাপতি ডাক্তার মানিক সাহা সহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বৃহস্পতিবার বিকেলেই তারা দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।
দিল্লি ফিরে গিয়ে তারা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করবেন।ত্রিপুরা স্ব-শাসিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ত্রিপুরা শহর এবং বিস্তারিত পর্যালোচনা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
উল্লেখ্য ইতিপূর্বে অভ্যন্তরীণ কোন্দল সংক্রান্ত বিভিন্ন রিপোর্ট কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জমা পড়েছে। এদিকে দলের একাংশ দল ছেড়ে অন্যান্য দলে যোগ দিতে শুরু করেছে। সার্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই রাজ্য সফর। স্বাভাবিক কারণেই এই সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ সহ অন্যান্য বিষয় নিয়েও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে অনেকেই ধারণা করছেন। তবে সবকিছুই নির্ভর করবে পারস্পরিক বোঝাপড়ার উপর।