স্টাফ রিপোর্টার, পানিসাগর, ১৫ জুন।। ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় স্কুটি নিয়ে ছিটকে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল বোনের, ভাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনা উত্তর জেলার পানিসাগরে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।নার্সের ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় অকালে প্রাণ গেল এক চাকরি প্রত্যাশী যুবতীর।ঘটনা উত্তর জেলার পানিসাগরে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে উত্তর জেলার দামছড়া এডিসি ভিলেজের নরেন্দ্র নগর হালাম বস্তির বাসিন্দা জনি ত্রিপুরা নিজের ছোট ভাই ভোলা ত্রিপুরাকে গ্রামের অন্য একজনের স্কুটি নিয়ে ভাই-বোন দুইজনই আগরতলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়| উত্তর জেলার পানিসাগর হলিক্রস স্কুল সংলগ্ন এলাকায় আসতেই একটি অ্যাম্বুলেন্স তাদেরকে সজোরে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় |
সেই দৃশ্য দেখতে পায় পথচারীরা | সঙ্গে সঙ্গে পানিসাগর দমকল অফিসে খবর দেওয়া হয় | ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পানিসাগর দমকল কর্মীরা | সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে পানিসাগর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করেন |
পানিসাগর হাসপাতাল থেকে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার পর সেখানে থেকে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে বহিঃরাজ্যে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া়া হয়। কিন্তু বহিঃরাজ্যে নিয়েে যাওয়ার আগে অকালেই ঝরে গেল পঁচিশ বছর বয়সের তরতাজা প্রাণ জনি ত্রিপুরার | অন্যদিকে জনি ত্রিপুরার ভাই ভোলা হলামের মাথা এবং পায়ে আঘাত লাগে | বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে।
এদিকে, জানা গেছে ভোলা ত্রিপুরা এবং জনি ত্রিপুরা র মা-বাবা দুজনই জুমচাষি ।তাদের পরিবার প্রতি পালনের একটাই সম্বল জুমচাষ । এমনই অবস্থা, গাড়ি ভাড়া করে তাদেরকে আগরতলা পাঠানো সম্ভব ছিল না ।তাই বাধ্য হয়ে স্কুটি নিিয়়ে রওয়ানা দিয়েছিল জনি ত্রিপুরা এবং তার ভাই ভোলা ত্রিপুরা ।
জনি ত্রিপুরার এই অকালে চলে যাওয়ার কারণে দামছড়া মহকুমায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।পানিসাগর থানার পুলিশ এ ব্যাপারে একটি মামলা গ্রহণ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অ্যাম্বুলেন্স চালক এর অসাবধানতার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।