স্টাফ রিপোর্টার, উদয়পুর, ১৪ জুন।। বৃদ্ধ পিতা মাতাকে নিয়ে অসহায়ত্বের জীবন যাপন করছে দিব্যাঙ্গ যুবতী। অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ৮০ শতাংশ দিব্যাঙ্গ যুবতী সরকারি সাহায্য পাওয়ার প্রার্থনা করেছে। পা ভেঙ্গে গৃহবন্দী হয়ে বর্তমানে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে ৮০ শতাংশ দিব্যাঙ্গ উদয়পুর মহকুমার পশ্চিম খিলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা রাখাল মজুমদারে মেয়ে সীমা মজুমদার।
বাড়িতে রয়েছে বৃদ্ধ বাবা মা। ৮০ শতাংশ দিব্যাঙ্গ হওয়া সত্বেও পেটের তাগিদে টিউশনি করে কিছুটা আর্থিক রোজগার করত সীমা। কিন্তু পা ভেঙে যাওয়ার ফলে একেবারে গৃহবন্দী। বাড়ির বাইরে গিয়ে টিউশনি করার মতো কোনও ক্ষমতা আর নেই।৭০ বয়সের বৃদ্ধ বাবা রাখাল মজুমদার আগে টেইলারিং এর কাজ করতন। কিন্তু এখন একদিকে বয়সের ভার অপরদিকে চোখের সমস্যা থাকায় আর টেইলারিং এর কাজও করতে পারেন না।
বর্তমানে বাড়ির আয়ের একমাত্র উৎস ৩৩ বছর বয়সী দিব্যাঙ্গ মেয়ে সীমা মজুমদার। কিন্তু বর্তমানে সেও পা ভেঙে গৃহবন্দী। ফলে দিব্যাঙ্গ প্রকল্পে ১০০০ হাজার টাকা ভাতা ছাড়া আর কোনও আয় নেই। সরকার ও প্রশাসনকে এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দাবি জানিয়েছে প্রতিবন্ধী যুবতী । সরকার ও প্রশাসন পাশে না দাঁড়ালে তাদের পরিবারে অনাহার-অর্ধাহারে নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।