অনলাইন ডেস্ক, ১৪ জুন।। দীর্ঘ ১২ বছর পর ইসরায়েলে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয়েছে। কথিত ‘কিং অব ইসরায়েল (ইসরায়েলের সম্রাট)’ বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হটিয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন আরেক কট্টর ইহুদি জাতীয়তাবাদী রাজনীতিক নাফতালি বেনেট।
ডান-বাম এবং মধ্যপন্থী সাতটি দলের সমন্বয়ে গঠিত নতুন একটি কোয়ালিশন সরকার রবিবার বিকেলে ৬০-৫৯ ভোটে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে অনুমোদন পেয়েছে।
শরিকদের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী আগামী দুই বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকবেন কট্টর জাতীয়তাবাদী দল ইয়ামিনার নেতা বেনেট। এরপর তাকে ক্ষমতা তুলে দিতে হবে মধ্যপন্থী রাজনীতিক ইয়ার লাপিদের হাতে। লাপিদই নতুন এই কোয়ালিশন তৈরির নেপথ্যে ছিলেন।
বিবিসি বলছে, নাফতালি বেনেটের রাজনৈতিক আদর্শ, তার বিশ্বাস, ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে তার অতীতের বক্তব্য-বিবৃতি বিবেচনা করলে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আশাবাদী হওয়ার কোনো কারণ আপাতদৃষ্টিতে নেই।
স্পেশাল ফোর্সের সাবেক কমান্ডার ৪৯ বছর বয়সী বেনেট একসময় নেতানিয়াহুর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০০৬ সাল থেকে দুই বছর তিনি নেতানিয়াহুর চিফ অব স্টাফ হিসেবে কাজ করেছেন।
এরপর ২০০৮ সালে নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার মনোমালিন্য তৈরি হয়। লিকুদ পার্টি থেকে বেরিয়ে তিনি কট্টর ইহুদি দল ‘জিউয়িশ হোম। পার্টিতে যোগ দেন। বেনেট ২০১৩ সালে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন।
বেনেটের কট্টর ডানপন্থী আদর্শ নিয়ে তার কোনো রাখঢাক নেই। বিভিন্ন সময় বড়াই করে তিনি বলেছেন, নেতানিয়াহুর চেয়েও তিনি বেশি ডানপন্থী।
বেনেট অতি ধার্মিক ইহুদিদের মতো অধিকাংশ সময়ে মাথায় কিপা (এক ধরনের টুপি) পরে থাকেন। উদারপন্থী ইহুদিদের সুযোগ পেলেই উপহাস করেন। বলতে গেলে, বেনেট ইহুদি জাতীয়তাবাদ এবং জাত্যভিমানের এক প্রতীক।
অধিকৃত পশ্চিমতীর, পূর্ব জেরুজালেম এবং সিরিয়ার কাছ থেকে দখল করা গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের স্থায়ী কর্তৃত্ব এবং সার্বভৌমত্ব কায়েমের পক্ষে বেনেট।
কট্টর ইহুদিদের মতো তিনি বিশ্বাস করেন, ঐতিহাসিকভাবে এসব এলাকা ইসরায়েলের এবং সে কারণে পশ্চিম তীরকে তিনি সবসময় হিব্রু বাইবেলে বর্ণিত ‘জুদেয়া-সামারিয়া’ নামে অভিহিত করেন।