অনলাইন ডেস্ক, ১৪ জুন।। এক যুগ পর বিদায় নিচ্ছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। প্রধানমন্ত্রী পদে দীর্ঘ সময় ইসরায়েল শাসন করার পর রবিবার রাতে তাকে বিদায় নিতে হয়।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশটির সংসদ নতুন সরকারের অনুমোদন দিয়েছে। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটে নতুন জোট সরকার গঠন নিয়ে বিতর্ক ও ভোটগ্রহণ হয়। নতুন সরকারের পক্ষে ভোট পড়ে ৬০টি। অন্যপক্ষে ছিল ৫৯ ভোট।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নাফতালি বেনেটে। দেশটিতে রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হলো এর মধ্য দিয়ে।
নেতানিয়াহু (৭১) তার প্রজন্মের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ। গত ২৩ মার্চের নির্বাচনের পর তিনি সরকার গঠনে ব্যর্থ হন। দুই বছরের মধ্যে দেশটিতে চতুর্থবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নেতানিয়াহুর একসময়ের ঘনিষ্ঠজন ও তার সরকারে কয়েক দফায় মন্ত্রিত্ব করা নাফতালি বেনেট মধ্যপন্থী দল ইয়েস আতিদের সঙ্গে জোট গড়তে রাজি হন। যার ফলে গত সপ্তাহেই নেতানিয়াহুর বিদায়ের ঘণ্টাধ্বনি বাজতে শুরু করে।
ভোটে জিতে ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন ইয়েমিনা পার্টির নেতা নাফতালি বেনেট। পার্লামেন্টে বেনেটের দলের মাত্র ছয়টি আসন থাকলেও গত মার্চে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া দল ইয়েস আতিদের সরকার গঠনের জন্য তার সমর্থন জরুরি হয়ে পড়ে।
ইয়েস আতিদের নেতা ইয়ার লাপিদের সঙ্গে বেনেটের যে চুক্তি হয়েছে, তাতে চার বছর মেয়াদের এই সরকারে প্রথম দুই বছর প্রধানমন্ত্রী হবেন বেনেট। তারপরের দুই বছর প্রধানমন্ত্রী হবেন লাপিদ।
বিবিসির প্রতিবেদনে নাফতালিকে ‘উগ্র-জাতীয়তাবাদী’ নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আল-জাজিরা তাকে পরিচয় করাতে গিয়ে ‘ডানপন্থী ধর্মীয় বক্তা’ উল্লেখ করেছে। মার্কিন বংশোদ্ভূত বেনেট স্পেশাল ফোর্সের সাবেক কমান্ডো। রায়ানা শহরে চার সন্তান এবং স্ত্রী নিয়ে তার বসবাস।
মিলিয়নিয়ার এই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ২০০৫ সালে নিজের স্টার্টআপ ১৪৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে রাজনীতিতে নামেন। পরের বছর নেতানিয়াহুর চিফ অব স্ট্যাফ নির্বাচিত হন। ২০১০ সালে নেতানিয়াহুর অফিস ছেড়ে দখলকৃত ওয়েস্ট ব্যাংকে ইহুদি সেটেলারদের হয়ে লবিং করা ইয়েসা কাউন্সিলের প্রধান হন।
রাজনীতিতে ঝড় তোলেন ২০১২ সালে। ওই সময় তিনি কট্টর ডানপন্থী জিউস হোম পার্টির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিস্তিন বিষয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন। ২০১৩ সালে ফিলিস্তিনিদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘ওদের মুক্তি না দিয়ে হত্যা করা উচিত। ’