কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যে সাংস্কৃতিক বিকাশের লক্ষ্যে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৪ জুন।। কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে রাজ্যে সাংস্কৃতিক বিকাশের লক্ষ্যে আজ তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাগৃহে এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উত্তর-পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের অধিকর্তা গৌরী বসু, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস, রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ দেব সহ সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত এই সভায় কয়েকজন সদস্য ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অংশগ্রহণ করে সংস্কৃতির বিকাশে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন।

সভায় উত্তর-পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের অধিকর্তা জানান, আগামী ২৭ জুন আর ডি বর্মণের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বর্হিরাজ্য এবং রাজ্যের শিল্পীদের নিয়ে নীরমহল প্রাসাদে একটি ডকুমেন্টারি অ্যালবাম তৈরি করা হবে। এই বিষয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর সহযোগিতা করবে। কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে শিল্পীদের পাশে দাড়ানো ও সংস্কৃতির বিকাশে রাজ্য সরকারের যে উদ্যোগ রয়েছে তা নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়।সভায় রাজ্য সরকার রাজ্যে শিল্পী/সাংস্কৃতিক সংস্থার নথিভুক্তকরণ ও গ্রেডেশন প্রদান করার জন্য যে সমস্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করেছে সেইগুলি বাছাইয়ের পর উত্তর-পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্র এবং পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের কাছে পাঠাবে।

ঐ তালিকা থেকে ৫০ শতাংশ পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্র পর্যায়ক্রমে রাজ্যের শিল্পীদের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সাথে আলোচনা করে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাবে। গুরু শিষ্য পরম্পরা প্রকল্পে রাজ্যের শিল্পীরা যাতে আরও বেশি সুযোগ পায় তারজন্য রাজ্যের পক্ষ থেকে ত্রিপুরার জন্য বরাদ্দ সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়। অনলাইন ক্লাসিকেল মিউজিক ওয়ার্কশপ, অনলাইন পেন্টিং ওয়ার্কশপ করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়। তাছাড়াও সভায় ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষে রাজ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের আবেদন রাখা হয়।

সভায় এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যানভাস তৈরি, ৭৫টি সীমান্তবর্তী গ্রামে একইসাথে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের আয়োজন, ত্রিপুরার ইতিহাস ও স্বাধীনতা সংগ্রামে ত্রিপুরার ভূমিকা নিয়ে ৭৫ মিনিটের একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ, রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বনামধন্য ৭৫ জন শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন, লুপ্তপ্রায় সংস্কৃতি নিয়ে ডকুমেন্টশন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। উত্তর- পূর্বাঞ্চল এবং পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের অধিকর্তা গৌরি বসু রাজ্যের সমস্ত প্রস্তাবগুলির সাথে উনার সহমত ব্যক্ত করেন এবং প্রস্তাবগুলি অনুমোদনের আশ্বাস দেন। রাজ্যের সংস্কৃতির বিকাশে রাজ্য সরকারের ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে আগামীদিনে উত্তর-পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্র এবং পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্র ও তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবে বলে সভায় আলোচনা হয়েছে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?