স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১০ জুন।। বর্তমান করোনা অতিমারির সময়ে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের উপর থেকে আর্থিক চাপ কমানোর লক্ষ্যে রাজ্যের বেসরকারি বিদ্যালয়গুলি যাতে ইতিবাচক মানোভাব নিয়ে এগিয়ে আসে তারজন্য শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন৷
শিক্ষামন্ত্রী আজ শিক্ষাভবনে সিবিএসই ও টিবিএসই’র স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিভিন্ন বেসরকারি বিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সাথে এক বৈঠক করেন। বৈঠকে বর্তমান করোনা অতিমারির সময়ে বিদ্যালয়গুলি কি ধরণের ভূমিকা নিয়েছে সে সম্পর্কে অবহিত হন।
শিক্ষামন্ত্রী এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অভিভাবকদের উপর যাতে আর্থিক বোঝা না চাপে সেজন্য প্রতিমাসের বাস ভাড়া অন্ততপক্ষে ষাট শতাংশ হ্রাস করার অনুরোধ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে টিউশন ফি ছাড়া আনুসঙ্গিক অন্যান্য ফি এই সময়ে না নেবার জন্যও তিনি অনুরোধ জানান। পাশাপাশি গতবছর অতিমারি চলার সময় বিদ্যালয়গুলি যে টিউশন ফি নিত এবছর তা না বাড়িয়ে একই রাখার জন্যও তিনি অনুরোধ জানান।
বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা অতিমারির দরুন অন্যান্য ক্ষেত্রের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রেও প্রচন্ড বিরূপ প্রভাব পড়েছে। সব অংশের মানুষকে সঙ্গে নিয়েই এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন বেসরকারি বিদ্যালয়গুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নে রাজ্যের বর্তমান সরকার ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। এর প্রতিফলনও সর্বক্ষেত্রে পড়ছে।
স্কুলস্তরে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের উপর নির্ভর করে কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা সংক্রান্ত পারফরম্যান্স গ্রেডিং ইন্ডেক্সে ত্রিপুরা রাজ্য চতুর্থ স্তরে গ্রেড ওয়ানে উন্নীত হয়েছে। এই পারফরম্যান্স রিপোর্টে ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে। এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে এবং আগামীদিনে রাজ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে শিক্ষামন্ত্রী সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
বর্তমান করোনা অতিমারি চলার সময় অভিভাবকদের উপর থেকে চাপ কমানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন বিদ্যালয় যে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে সে সম্পর্কে বিদ্যালয়ের প্রতিনিধিগণ সভাকে অবহিত করেন। লিখিত আকারে এই সব পদক্ষেপ দপ্তরে জানানোর জন্য শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা ইউ কে চাকমা বিভিন্ন স্কুলের প্রতিনিধিদের বলেছেন।
বৈঠকে উপস্থিত ত্রিপুরা স্টেট হায়ার এডুকেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অরুণোদয় সাহা এই সময়ে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে সমস্ত পদক্ষেপ নেবার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।