অনলাইন ডেস্ক, ১০ জুন।। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বে এখন পর্যন্ত যত টিকা সরবরাহ করা হয়েছে তার ৭৫ শতাংশই পেয়েছে মাত্র ১০টি দেশ। কম জিডিপির দেশগুলো পেয়েছে এক শতাংশেরও কম টিকা।
টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে এমন অসম অবস্থা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ— মন্তব্য করে ডব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটা মহামারি থেকে মুক্তির দুটি ভিন্ন পথের কথাই সামনে নিয়ে আসে। ’’সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্যদের উদ্যোগে কোভ্যাক্স কর্মসূচি চালু করা হয়।
এর আওতায় নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে টিকা সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে সংখ্যাটা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম। যেমন; প্রায় ১৮ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ কোভ্যাক্সের আওতায় এখন পর্যন্ত ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা পেয়েছে।
ডয়চে ভেলে জানায়, জার্মানিতে প্রায় ৪৫ শতাংশ মানুষ ইতিমধ্যে অন্তত এক ডোজ টিকা পেয়েছেন। অথচ এমন অনেক দেশ আছে যেখানে টিকা কার্যক্রম কেবল শুরু হচ্ছে। তাঞ্জানিয়া, চাদের মতো দেশে এখনো টিকা দেওয়া শুরু হয়নি।
কোভ্যাক্সের জন্য টিকা কিনতে দাতা দেশগুলোর কাছ থেকে সহায়তা চাওয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে গত সপ্তাহে অনলাইনে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে ১৯ হাজার ৬৩০ কোটি টাকার অঙ্গীকার পাওয়া গেছে, যার এক-তৃতীয়াংশ দিচ্ছে জাপান। সব মিলিয়ে কোভ্যাক্সের আওতায় এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
তবে বিভিন্ন দেশ কোভ্যাক্সে টাকা না দিয়ে কৌশলগত স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সরাসরি বন্ধু দেশকে টিকা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষুধা নিবারণে কাজ করা সংস্থা ব্রেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ডের কর্মকর্তা মারাইকে হাসে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা মনে করি, টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমতা আনতে হলে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে টিকা বিতরণ করতে হবে। ’’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি ল্যাটিন আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আট কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। এর তিন-চতুর্থাংশ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে দেওয়া হবে, বাকিটা সরাসরি পাবে বিভিন্ন দেশ।