স্টাফ রিপোর্টার, কৈলাসহর, ৯ জুন।। বাংলাদেশ পাচারকালে নয়টি গরুসহ একটি গাড়ি আটক করেছে ইরানি থানার পুলিশ। গরু পাচার কাণ্ডে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা গ্রহণ করেছে ইরানি থানার পুলিশ।
অবৈধভাবে বাংলাদেশে গরু পাচার করতে নিয়ে যাবার সময় নয়টি গরু সহ দুইজনকে শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুটানি বাজার এলাকা থেকে আটক করে ইরানি থানার পুলিশ।ওসি আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ইরানি থানার পুলিশ এবং টি.এস.আর কর্মীরা এই সাফল্য পায়।
ইরানি থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান , বুধবার দুপুর একটা নাগাদ TR02B1640 নম্বরের একটি টাটা ম্যাজিক ভ্যান গাড়ি শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুটানি বাজার এলাকা দিয়ে হিরাছড়া এলাকায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক ভারত বাংলাদেশের সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল। গাড়িটি খুব দ্রুত বেগে যেতে দেখে ওসি আলমগীর হোসেনের সন্দেহ হয়। গাড়িটির পিছু দাওয়া করে গাড়িতে তল্লাশী করে দেখা যায় গাড়ির ভিতরে নয়টি গরু রয়েছে ।
গাড়িতে চালক সহ আরও এক যুবক ছিল। পুলিশ ফুটানি বাজার থেকেই গাড়িতে থাকা দুজনকে গ্রেফতার করে। গরু সহ গাড়িকে ইরানি থানায় নিয়ে আসে। ওসি আলমগীর হোসেন জানান, গরু গুলো ধলাই জেলার মাছলি বাজার থেকে ক্রয় করে বাংলাদেশে পাচার করার জন্যই আনা হয়েছিল।
ওসি আলমগীর হোসেন জানান , উদ্ধারকৃত গরুর বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। বাংলাদেশে এই গরুর বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় , এই গরু বাংলাদেশে পাচারের সাথে স্থানীয় শাসক দলের এক প্রভাবশালী নেতার ভাই জড়িত রয়েছে।
বাংলাদেশে গরু পাচার বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ জন।সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো ,ধলাই জেলার মাছলি বাজার থেকে গরু নিতে যেতে হলে কৈলাসহর থানা এলাকার উপর দিয়ে ,এমনকি কৈলাসহর থানার এয়ারপোর্ট রোডের নাকা চেকিং ক্রশ করে যেতে হয়। তাহলে কৈলাসহর থানার পুলিশ কর্মীদের এত নিরাপত্তা থাকা সত্বেও কিভাবে এই গাড়িটি গরুগুলো নিয়ে গেল?
অভিযোগ উঠেছে কৈলাসহর থানার ওসি পার্থ মুন্ডা এসব গরু পাচার কান্ডে এবং দুনম্বরী কাজে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন। গত কিছুদিন পূর্বে অবৈধভাবে আসা বাংলাদেশী নাগরিকদের সাথে গাঁজা আটক করলেও কৈলাসহর থানার ওসি পার্থ মুন্ডা সেই গাঁজাগুলো গায়েব করে দিয়েছিলেন বলে ও অভিযোগ রয়েছে।