মুখ্যমন্ত্রী কোভিড স্পেশাল রিলিফ প্যাকেজ স্কীমের সূচনা, রাজ্যের ৭ লক্ষ গরীব পরিবারে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানো হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২ জুন।। করোনা অতিমারি মোকাবিলায় করোনা কার্ফু জারি করায় রাজ্যের গরীব পরিবারগুলি অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। এই অবস্থায় সরকার খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে এই সমস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে। সেই লক্ষ্যে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ‘মুখ্যমন্ত্রী কোভিড স্পেশাল রিলিফ প্যাকেজ স্কীমের’ ঘোষনা দিয়েছে।

এই প্যাকেজের মাধ্যমে রাজ্যের ৭ লক্ষ গরীব এবং প্রয়োজন রয়েছে এমন পরিবারে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানো হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারে এক হাজার টাকা করেও প্রদান করা হবে। আজ নজরুল কলাক্ষেত্রে ‘মুখ্যমন্ত্রী কোভিড স্পেশাল রিলিফ প্যাকেজ স্কীমের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ৭ লক্ষ গরীব ও প্রয়োজন রয়েছে এমন পরিবারে খাদ্য সামগ্রী পৌছানোর কাজটি কঠিন হলেও তা কার্যকর করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

এই ধরণের বড় প্রকল্প রাজ্যে এর আগে কখনও নেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজী কোভিড মোকাবিলায় দেশের প্রতিটি প্রান্তে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে চলার জন্য আর্থিক স্থিতিকে মজবুত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। দেশেই করোনা ভ্যাকসিন তৈরী করা হয়েছে, যা কারোর কল্পনার মধ্যেই ছিলনা।

দেশে এরকম পরিস্থিতির মধ্যেও কেউ কেউ সমালোচনার মাধ্যমে জনগণকে দিশাহীন পথে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড মোকাবিলায় রাজ্য সরকারও বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহন করে কাজ করছে। ৪৫ ঊর্দ্ধ টীকাকরণে রাজ্য বর্তমানে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে বিরোধী দলগুলি সেই বিষয়ে কোনও কথা না বলে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

যা রাজ্যের জন্য দুর্ভাগ্যজনক বলে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার করোনা অতিমারিকে দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করছে, তেমনি রাজ্যের জনগণের কল্যাণে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করে চলছে। ফলে রাজ্যের জনগণ আজ আত্মনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা অতিমারি মোকাবিলায় আমাদের সকলকেই ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে চলতে হবে।

তবেই করোনাকে জয় করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে জনগণের সরকার জনগণের পাশেই আছে ও থাকবে। রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংগঠন এবং সংবাদমাধ্যম করোনা মোকাবিলায় যেভাবে এগিয়ে এসেছে তারজন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষনে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক রাভেল হেমেন্দ্র কুমার বলেন, কোভিডের এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী কোভিড স্পেশাল রিলিফ প্যাকেজ স্কীমের মাধ্যমে খাদ্যের প্যাকেট পৌছানোর ফলে রাজ্যের ৭ লক্ষ পরিবার উপকৃত হবে। এরজন্য রাজ্য সরকার ৮০ কোটি টাকা ব্যয় করবে। এই প্যাকেজের মাধ্যমে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার দেড় লক্ষ পরিবার উপকৃত হবেন।

এরমধ্যে সদর মহকুমার ৭৭ হাজর ৯৮ টি অন্ত্যোদয়, প্রায়োরিটি গ্রুপ ও গরীব এ পি এল পরিবার ছাড়াও অন্যান্য শ্রেণীভুক্ত আরও ১৩ হাজার পরিবার এই স্কীমের মাধ্যমে উপকৃত হবে। খাদ্য প্যাকেটগুলি রেশন শপের মাধ্যমেই প্রতিটি পরিবারে পৌছানো হবে। আজই সদর মহকুমায় ৪২টি রেশন শপের মাধ্যমে ৪ হাজার ৬০০ পরিবারে এই খাদ্য প্যাকেট পৌছানো হবে।

অনুষ্ঠানে কয়েকজন সুবিধাভোগীর হাতে মুখ্যমন্ত্রী কোভিড স্পেশাল প্যাকেজ প্রকল্পে খাদ্যের প্যাকেট তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় এবং খাদি ও গ্রমোদ্যোগ পর্ষদের চেয়ারম্যান রাজীব ভট্টাচার্য্য।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?