অনলাইন ডেস্ক, ৩১ মে।। আশঙ্কা যতটা করা হয়েছিল, তার থেকে কিছুটা কম সংকুচিত হল ভারতীয় অর্থনীতি। করোনার প্রবল প্রভাব পড়ল জানুয়ারি-ডিসেম্বরের আর্থিক কোয়ার্টারে।
ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অর্গানাইজেশনের তরফে সোমবার যে তথ্য জিডিপি সম্পর্কে প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে জানুয়ারি-ডিসেম্বরের সময়কালে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ১.৬ শতাংশ। যা নিঃসন্দেহে উদ্বেগের বিষয়। ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতি ৭.৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০২১ অর্থবর্ষের প্রথম দিকে করোনার লকডাউনে কার্যত তলানিতে চলে আসে আর্থিক বৃদ্ধির হার। যার জেরে অর্থবর্ষের প্রথম কোয়ার্টারে অর্থনীতি ২৪.৪ শতাংশের একটি চরম পতন দেখতে পায়। এরপর গত চার দশকে এই প্রথমবার ৭.৩ শতাংশ সংকুচিত হয়ে ঘরোয়া অর্থনীতি কার্যত বড়সড় উদ্বেগ তৈরি করল।
উল্লেখ্য, আর্থিক বৃদ্ধি ৭.৩ শতাংশ সংকুচিত হওয়ায় তা ঋণাত্মক দিকে যাচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হয়। চলতি আর্থিক বর্ষে আর্থিক ঘাটতি রয়েছে ৯.৩ শতাংশের। আগের পর্যালোচনায় যা ছিল ৯.৫ শতাংশ। তবে করোনাভাইরাসের কারণেই যে শুধুমাত্র ভারতীয় অর্থনীতি ধুঁকছে, তা নয়। করোনার দাপট শুরু হওয়ার আগেও অর্থনীতি ঢিমেতালে চলছিল।
গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো দেশজুড়ে লকডাউনের ফলে ক্রেতাদের চাহিদা এবং আস্থা ব্যাপকভাবে ধাক্কা খায়। স্বভাবতই ধুঁকতে থাকে অর্থনীতি। তার ফলে গত ৪১ বছরে এই প্রথম পুরো একটা অর্থবর্ষে সার্বিকভাবে সংকুচিত হয়েছে অর্থনীতি। পাশাপাশি যা সর্বনিম্ন। ১৯৭৯-৮০ অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতির সংকোচনের হার ছিল ৫.২ শতাংশ।
এমনিতে জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষে (২০২০-২১ অর্থবর্ষ) ভারতের অর্থনীতি কমে ১৩৫ লাখ কোটি টাকায় ঠেকেছে। যা ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে ছিল ১৪৫ লাখ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সেই ১৪৫ লাখ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে চলতি অর্থবর্ষে ১০-১১ শতাংশ হারে বাড়তে পারে ভারতীয় অর্থনীতি।
কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় সেই সম্ভাবনা কার্যত নেই। অর্থনীতির ইতিবাচক প্রবণতাও ধাক্কা খেয়েছে। তাই ভিত্তি কমে গেলেও আর্থিক বৃদ্ধির হার ১০-১১ শতাংশে পৌঁছানো কার্যত অসম্ভব।