অনলাইন ডেস্ক, ৩১মে।। রিয়্যালিটি শো ইন্ডিয়ান আইডলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন সুনিধি চৌহান। রিয়্যালিটি শো’র বেশ কিছু অসংগতি তিনি তুলে ধরেন। শুধু তাই নয়, জানিয়েছেন কেন বিচারকের পদ ছেড়েছেন তিনি। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে এসব জানিয়েছেন তিনি। সুনিধি চৌহান এর আগে ইন্ডিয়ান আইডল ৫ ও ৬ এপিসোডে বিচারকের কাজ করেছেন।
ইন্ডিয়ান আইডল নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছেন রিয়্যালিটি শো’র এক সময়ের বিচারক ও জনপ্রিয় গায়িকা সুনিধি চৌহান। জানিয়েছেন, কেন তিনি বিচারক থেকে সরে গিয়েছিলেন। এখন চলছে ‘ইন্ডিয়ান আইডল-১২, কিশোর কুমার এপিসোড’। রিয়্যালিটি শো’টির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন সুনিধি চৌহান। তিনি এর আগে ইন্ডিয়ান আইডল ৫ ও ৬ এপিসোডে বিচারকের কাজ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যেমনই হোক না কেন, প্রতিযোগীদের প্রশংসা করতে হতো। সেটা বলে দেয়া হতো।’ ‘এটা অবশ্য সবার ক্ষেত্রে নয়, কিন্তু হ্যাঁ, আমরা সবার প্রশংসা করতাম। এটা ছিল একেবারে বেসিক জিনিস।
আমি সেটা করতে পারি না। তারা যা চায় আমি সেটা করতে পারি না বলে আমি আর সেখানে যাই না। যদিও এখন আমি কোনো রিয়্যালিটি শো’তে আর বিচারক হিসেবে যাই না।’ সুনিধি বলেন, ‘এমনকি আমি নেহা কক্কর, হিমেশ রেশামিয়া ও বিশাল দাদলানিকেও সঠিক প্রশংসা করতে শুনিনি। আমার কথা, আপনি তাদের গঠনমূলক সমালোচনা করে তাদের বাদ দিন। ‘অমিত কুমারের জ্বালাময়ী সেই সাক্ষাৎকারের কথা ভুলে গেলে চলবে না। তিনি সেখানে বলেছিলেন, ক্যামেরা তাক করার সময় তাদেরকে প্রত্যেক প্রতিযোগীর প্রশংসা করতে হতো।
এটার উদ্দেশ্য কী?‘ইন্ডিয়ান আইডল নির্মাতারা শুধু কী শোটির প্রসারে কাজ করেছেন?’ সুনিধি বলেন, ‘আমি মনে করি এটা করা হয় শুধু মনোযোগ আকর্ষণের জন্য। আমি মনে করি আপনাদের শ্রোতা ধরে রাখতে এটা প্রয়োজন। সেটা কাজও করে।‘’ এমন রিয়্যালিটি শো কোনো একজন গায়ককে বড় প্ল্যাটফর্ম দেয় বলে মনে করেন সুনিধি। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এতে শিল্পীদের বেশি ক্ষতি হয়। তারা প্রশংসা পান এবং রাতারাতি তাদের লড়াইয়ের যে ক্ষুধা তা কমে যায়।‘আমি বলছি না তারা চেষ্টা করে না। তারা অনেকেই আছেন যারা কঠোর পরিশ্রম করেন।
এটা আসলে প্রতিযোগীদের দোষ নয়, এটা একটা গেমের নাম, যার নাম টিআরপি।’ এরপরই সুনিধি চৌহান ঘোষণা দেন, ‘‘দিল হ্যা হিন্দুস্তান’, ‘দ্য ভয়েস’ এবং ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ করেছি। সত্য বলেছি। এমনকি এখনই আমি সত্যটাই বলতে চাই। তারা আমাকে নেবে কি না সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।’’