অনলাইন ডেস্ক, ২৩ মে।। সমাজ কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিকাশ নির্ধারণে বিশাল ভূমিকা পালন করে। সমাজ কোন পথে চলেছে এবং তার ভবিষ্যত কী হবে তা নির্ভর করে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাজের উপর। তবে ব্যক্তির বিষাক্ত আচরণ সহ বেশ কয়েকটি জিনিসকে সমাজের দূঢ়ভাবে মোকাবেলা করা উচিত। কেননা সমাজ এবং ব্যক্তি উভয়ই একে অপরের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তবে আমাদের সমাজ এই সমস্ত বিষাক্ত আচরণকে স্বাভাবিক করে তুলেছে। যা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যে বিষাক্ত আচরণ মোকাবেলায় সমাজের পদক্ষেপ নেয়া জরুরি—
নিষ্ঠুরতা – আমাদের সমাজে অবলা প্রাণী, বাকপ্রতিবন্ধি, অটিস্টিক ও ছোট শিশু সহ মানুষের প্রতি নিষ্ঠুরতা ক্রমবর্ধমান। নিষ্ঠুরতার অর্থ সর্বদা কাউকে শারীরিক ক্ষতি করা বা নির্যাতন করা নয়। এটি মানসিক, সংবেদনশীল এবং মানসিকও হতে পারে। প্রিয়জনের সমস্যা বুঝতে না পারা, করো প্রতি সংঘটিত অন্যায়ের প্রতি অজ্ঞ হওয়া, রাস্তায় কাউকে আহত দেখেও না দেখার ভান করে চলে আসা- এগুলো নিষ্ঠুরতারই এক রূপ।
রাগের নেশা – রাগ অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বিষাক্ত আবেগ। এটির সবচেয়ে খারাপ দিক হলো, এটি অন্য কোনও ব্যক্তি বা বিষয়ের পুনর্নির্দেশ করা খুব সহজ। উদাহরণস্বরূপ, আপনি আপনার বসের উপর ক্ষুব্ধ এবং তার কিছুই করতে পারবেন না। কিন্তু, আপনি এটি আপনার স্ত্রী বা বাচ্চাদের উপর নিতে পারেন।
বুদ্ধির অহংকার – একজন মানুষের পক্ষে সবকিছু জানা সম্ভব নয়। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ, তথ্য উপেক্ষা করা যা আমাদের প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করে তা হলো অহঙ্কার। দিনে দিনে হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে অপপ্রচার করে চলেছে। অশিক্ষা এবং স্বল্প জ্ঞানের অহংকারের ফলে এগুলো আমাদের সমাজে স্বাভাবিক হয়ে পড়েছে।