বীজের অঙ্কুরই বের হয়নি, অনাবৃষ্টির দরুন এবছর চাষবাসের ব্যাপক ক্ষতি, মাথায় হাত জুমিয়াদের

স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ২৩ মে।। অনাবৃষ্টির কারণে জুমিয়াদের কপালে চিন্তার ভাজ, ফলে এই বছর জুম চাষের মধ্যে দিয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে কিনা রয়েছে হাজার প্রশ্ন।

প্রখর রোদের কারণে জুমের বিভিন্ন ফসলের বীজ বপন করলেও অনাবৃষ্টির কারণে তাঁদের পারিশ্রম বৃথায় গেল। প্রত্যেকটি জুমিয়া পরিবার সর্বস্বান্ত হওয়ার উপক্রম হয়ে উঠবে এবছর। মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীনে প্রতিটি এডিসি ভিলেজে এমন দুর্দশা চলছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ে ছিটে ফোঁটা বৃষ্টি হয়েছিল। এতে জুমিয়ারা জুমের বিভিন্ন ফসলের বীজ বপন করেছিল জুমিয়া টিলা গুলিতে। এরপরই বৃষ্টির অকাল। জানা গেছে ৩০% জুমিয়ারা টিলার জমিতে বীজ বপন করে নেয় এবং ৭০% জুমিয়ারা বৃষ্টির অকাল প্রত্যক্ষ করে বীজ বপন করেনি। এদিকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টির জল না থাকায় অথবা বৃষ্টি না থাকার কারণে জুমিয়ারা এবার জুম চাষে ক্ষতির সম্মুখীন।

এই ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া জুমিয়া জানায় এমন সময় জুমের ফসল বাজারে নিয়ে আসা হতো বিক্রি করার জন্য। কিন্তু এবার অনাবৃষ্টির কারণে ফসলের বীজ থেকে চারা গাছই হয়নি জলের অভাবে। রুদ্রের তীব্রতায় বপন করা ফসলের বীজ নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে প্রতিটি এডিসি ভিলেজের জুমিয়ারা এবার বেকায়দায়। এই নিদারুণ পরিস্থিতিতে জুমিয়াদের দাবি সরকারি সাহায্য সহায়তা পাওয়ার জন্য রাজ্য প্রশাসনের কাছে।

 

মূলত বৃষ্টি না থাকার কারণে জুমের টিলাভূমির গুলি খা খা করছে। এই অবস্থায় জুমীয়ারা কী করবে বুঝে উঠতে পারছে না। এদিকে জুম চাষের উপর নির্ভর করে প্রতি বছরের খোরাকি জোগাতে হয় প্রত্যেকটি জুনিয়া পরিবারদের।

এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে অত্যন্ত প্রত্যন্ত এলাকার গিরিবাসী তথা জুমিয়া চাষী কমল সিং রিয়াং জানান অনাবৃষ্টির কারণে জুম চাষের জমিতে ধানসহ বিভিন্ন ফসল লাগিও জলের অভাবে শুকিয়ে গেছে। সরকারের কাছে দাবি যেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে ক্ষতি সাপেক্ষে।

 

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?