অনলাইন ডেস্ক, ২৪ মে।। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিপর্যস্ত ভারত। সংক্রমণ ও মৃত্যু লাফিয়ে বাড়ছে দেশটিতে। করোনায় সংক্রমিত রোগী শনাক্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারতের নাম এসেছে আগেই। এবার দেশটি করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে যাওয়া দেশের কাতারে ঢুকে পড়ল।
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় দেশ ভারত—যেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিন লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন।করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিপর্যস্ত ভারত। সংক্রমণ ও মৃত্যু লাফিয়ে বাড়ছে দেশটিতে। করোনায় সংক্রমিত রোগী শনাক্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারতের নাম এসেছে আগেই।
এবার দেশটি করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে যাওয়া দেশের কাতারে ঢুকে পড়ল। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় দেশ ভারত—যেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিন লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন।
রোববার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩ হাজার ৭৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ভারতে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩ হাজার ৩৫৫ জনে। এই ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ৪০ হাজার ৮৪২ ভারতীয়র করোনা শনাক্ত হয়েছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য, ভারতে মোট শনাক্তের সংখ্যা ২ কোটি ৬৭ লাখ ৩৮ হাজার ২২০ জনে দাঁড়িয়েছে।
সংক্রমণ শনাক্তে ভারতের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র গতকাল রাত পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৮৪ হাজার ৬৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৯১২ জন। একটি দেশে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা এটাই সর্বোচ্চ। সংক্রমণ শনাক্তে বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরই ভারতের অবস্থান।
আর ১ কোটি ৬০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৩৯ জনের করোনা শনাক্ত করে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ লাখ ৪৮ হাজার ২৯১ জন।
সেই হিসাবে, করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর তালিকায় ভারতের আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের অবস্থান। আর ২ লাখ ২১ হাজার ৫৭৯ জন কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ তালিকায় ভারতের পরে রয়েছে মেক্সিকো।
ভারতে সংক্রমণের ‘বিস্ফোরণের’ জন্য করোনার ভারতীয় ধরনকে অনেকাংশে দায়ী করা হচ্ছে। করোনার ভারতীয় ধরনকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। অবস্থা এমন যে, করোনা রোগীদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের হাহাকার পড়ে গেছে ভারতের হাসপাতালগুলোয়।