অনলাইন ডেস্ক, ২১ মে।। ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতির কথা জানায়। ১১ দিনের এই সংঘাতে সব মিলিয়ে ২৪০ জন মারা গেছেন, যাদের অধিকাংশই গাজার বাসিন্দা। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ফিলিস্তিনিরা রাস্তায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
ইসরায়েল এবং হামাস দুই পক্ষই বিজয় দাবি করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই যুদ্ধবিরতি উন্নতির জন্য মোক্ষম সুযোগ। বৃহস্পতিবার ইসরায়েল শতাধিক হামলা চালায় হামাসের বিভিন্ন স্থাপনায়। হামাস রকেট হামলার মাধ্যমে তা প্রতিরোধের চেষ্টা করে। হামাস নেতারা এটাও বলেছেন, ঘোষণা এলেও যুদ্ধবিরতি চুক্তির খুঁটিনাটি চূড়ান্ত না হওয়া অবধি তারা সতর্ক অবস্থায় থাকবেন। মিসরের পাশাপাশি কাতার ও জাতিসংঘ দুই পক্ষকে যুদ্ধবিরতি রাজি করানোর ভূমিকায় ছিল বলে বিবিসি জানিয়েছে।
ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের বিরোধ যুগ-যুগ ধরে চলে আসছে। ইসরায়েলি উগ্রবাদীদের হাতে প্রতি বছর শতশত নিরীহ ফিলিস্তিনি মারা যান। দুই দেশের মধ্যে নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি হয় ‘জেরুজালেম দখল দিবস’ উদ্যাপন এবং শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ঘিরে। এরপর আল-আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে সাত শতাধিক মুসল্লি আহত হন।
আল-আকসা মসজিদ থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রকেট হামলার হুমকি দেয় গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। সেখান থেকে বাহিনী সরিয়ে না নিলে ইসরায়েলে রকেট ছোড়ে সংগঠনটি। পাশাপাশি হত্যাযজ্ঞ শুরু করে ইসরায়েল।