প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রুশ-জার্মান গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প সম্পর্কে কিছুটা সুর নরম করলো ওয়াশিংটন

অনলাইন ডেস্ক, ২০ মে।। জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর রাশিয়ার সঙ্গে প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রুশ-জার্মান গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প সম্পর্কে কিছুটা সুর নরম করলো ওয়াশিংটন। তবে বিতর্ক এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। ডয়চে ভেলে জানায়, মতপার্থক্য ও তর্জনগর্জন সত্ত্বেও কূটনৈতিক পথে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা যতটা সম্ভব সমাধানের চেষ্টা করা উচিত বলে মনে করে রাশিয়া ও আমেরিকা। বলা হচ্ছে, বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম বৈঠকে এমন বাস্তববাদী মনোভাব দেখা গেল।

আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকইয়াভিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, যাবতীয় মতপার্থক্য সত্ত্বেও দুই দেশ কিছু ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। তিনি মনে করেন, দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করলে পৃথিবী আরও নিরাপদ হয়ে উঠবে। আর্কটিক কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিতে এসে দুই নেতাই মুখোমুখি দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন। কোনো বড় সাফল্য না এলেও শুভ সূচনা হয়েছে বলে এক মার্কিন কূটনীতিক মন্তব্য করেন। বাইডেন রাশিয়ার সঙ্গে প্রত্যাশিত ও স্থায়ী সম্পর্ক চান।

করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি, আফগানিস্তানে সংঘাতের মতো বিষয়ে সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে বলে ব্লিংকেন মনে করেন। রুশ-মার্কিন সংঘাতের একটি বিষয়ে সুর কিছুটা নরম করেছে বাইডেন প্রশাসন। রাশিয়া থেকে জার্মানিতে সরাসরি গ্যাস সরবরাহ করতে পাইপলাইন তৈরির কাজে আর তেমন বাধা দিচ্ছে না ওয়াশিংটন।

এ দিকে বাইডেন-লাভরভ বৈঠকের মাঝেই আমেরিকা কয়েকটি জাহাজ ও কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করলেও ‘নর্ড স্ট্রিম ২’ প্রকল্পের পেছনে মূল কোম্পানি ও কোম্পানির প্রধানকে রেহাই দিয়েছে। ফলে প্রায় ১১০ কোটি ডলারের এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ আপাতত উজ্জ্বল থাকছে। এই মনোভাবের কারণ ব্যাখ্যা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, আমেরিকার জাতীয় স্বার্থে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানি ও কোম্পানির পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ কার্যকর করা উচিত হবে না।

কারণ, সে ক্ষেত্রে জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগীদের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাইডেন অবশ্য বুধবারও এই পাইপলাইন প্রকল্পের কাজ শেষ করার বিরোধিতায় অটল ছিলেন। বলা হচ্ছে, এমন সিদ্ধান্তের ফলে জার্মানি তথা ইউরোপের অনেক দেশ কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?