স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৯ মে।। এডিসি এলাকার উন্নয়নে রাজ্য সরকার যে সমস্ত প্রকল্প রূপায়ণ করছে তা জনগণের নিকট সঠিকভাবে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচারের জন্য বিজেপির নবনির্বাচিত এম ডি সি-দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
পাশাপাশি প্রত্যেক এম ডি সি’কে নিজ নিজ এলাকার জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করে তাদের পাশে থেকে কাজ করার জন্য বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সচিবালয়ের ২নং সভাকক্ষে ৯ জন এম ডি সি মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকারে মিলিত হন। মুখ্যমন্ত্রী তাদের জনজাতিদের চিরাচরিত রিসা দিয়ে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন এবং স্মারক উপহার তুলে দেন।
আলোচনাকালে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব বলেন, আগামী ২০২২ সালের মধ্যে এ ডি সি এলাকার সমস্ত রাস্তা পাকা করতে এবং প্রতিটি বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌছে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এছাড়াও রাজ্য সরকার এ ডি সি এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল, বিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প রূপায়ণের কাজ করছে। এই সমস্ত প্রকল্পের সুফলগুলি এ ডি সি এলাকার জনগণ যাতে আরও বেশি করে লাভ করতে পারে তারজন্য নবনির্বাচিত এম ডি সি’দের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে।
এক্ষেত্রে সরকারী প্রকল্পগুলি বেশী করে জনগণের নিকট প্রচারে নিয়ে যেতে এম ডি সি’দের প্রতি আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে এম ডি সি-দের জনগণের প্রতি সবসময় ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। ধৈর্য্য সহকারে জনগণের সমস্যার কথা শুনে তা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। তবেই জনগণের মধ্যে তার একটা স্বচ্ছ ইমেজ তৈরী হবে যা একজন জনপ্রতিনিধির বড় উপহার।
নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে স্থানীয় বিধায়ক, সাংসদ ও বি এস সি’র চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার জন্য এম ডি সি-দের পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার সম্প্রতি ‘জাগরুত ত্রিপুরা’ নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যে কোন সুবিধাভোগী তার যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা লাভ করতে পারবেন।
রাজ্যের জনকল্যাণে সরকার কর্তৃক গৃহীত এই অনলাইন পরিষেবাটির গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে এ ডি সি এলাকায় ব্যাপকভাবে প্রচারের দায়িত্ব নিতে হবে এম ডি সি’দের। পাশাপাশি জনকল্যাণে রাজ্য সরকারের যে সমস্ত প্রকল্প রয়েছে সে সম্পর্কে এম ডি সি-দের সচেতন থাকার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, তবেই সেই প্রকল্পগুলির সুবিধা জনগণের মধ্যে সহজে পৌছানো সম্ভব হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এ ডি সি এলাকায় গ্রামোন্নয়ন, পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, পুর্ত ইত্যাদি দপ্তর যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ রূপায়ণ করছে তা সময়ে সময়ে তদারকি করতে হবে এম ডি সি-দের। প্রতিটি প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে এম ডি সি-দের নিয়মিত যোগাযোগ রাখার জন্য পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজকের আলোচনায় এম ডি সি স্বপ্না রাণী দাস, এম ডি সি ভূমিকানন্দ রিয়াং, এম ডি সি সঞ্জয় দাস, এম ডি সি সঞ্জীব রিয়াং, এম ডি সি শৈলেন্দ্র নাথ, এম ডি সি হংস কুমার ত্রিপুরা, এম ডি সি সম্রাট জমাতিয়া, এম ডি সি পদ্মলোচন ত্রিপুরা এবং এম ডি সি কংজাউং মগ অংশগ্রহণ করেন। প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ এলাকার বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
আলোচনার সময় বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, শিল্প দপ্তরের সচিব ড: প্রশান্ত কুমার গোয়েল, পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে এবং গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিব সৌম্যা গুপ্তা উপস্থিত ছিলেন।