স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৭ মে।। আবারও আক্রান্ত চিকিৎসক। প্রতিবাদ জানালেন কর্মস্থলেই। করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে বিভিন্ন মহলে। সংবাদে প্রকাশ, রবিবার সন্ধ্যায় জিবির ট্রমা কেয়ার সেন্টারে দায়িত্বে ছিলেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের চূড়ান্ত বর্ষের দুই চিকিৎসক৷
সে সময় কিছুটা রোগীর চাপ বাড়ে৷ নিয়ম অনুযায়ী জরুরি ভিত্তিতে আসা রোগীদের দেখতে হয় চিকিৎসকদের৷ সেই অনুযায়ী সমস্ত রোগীকে দেখতে শুরু করেন চিকিৎসকেরা৷ একজন রোগীর স্টিচ করার কাজে ব্যস্ত ছিলেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের চূড়ান্ত বর্ষের অস্থিরোগ বিভাগের ডা. অরূপ দাস৷
সেই সময় একজন দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীকে ট্রমা সেন্টারে নিয়ে আসা হয়৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই আসে বাড়ির লোকেরা৷ দু’জন চিকিৎসক ব্যস্ত ছিলেন অন্য রোগীদের নিয়ে৷ আচমকা দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীর পরিবারের এক সদস্য মদমত্ত অবস্থায় এসে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন৷
ডা. অরূপ দাস সেলাই কাজে ব্যস্ত থাকায় অপর রোগীকে ওটির সামনে থেকে দেখেন তাঁর হাত কেটে গেছে৷ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন৷ সেই রোগীর অবস্থা ততটা সঙ্কটজনক নয় বলে জানান ডা. অরূপ দাস৷ কিন্তু এরপরেই সেই রোগীর পরিবারের এক মদমত্ত সদস্য ওটির ভেতরে এসে গালাগাল শুরু করেন৷
তাকে চুপ থাকতে বলেন চিকিৎসক৷ কিন্তু কোনভাবেই সে বেরুতে চায়নি৷ উল্টো গালিগালাজ শুর করে সেই মদমত্ত যুবক৷ এরপর ডা. অরূপ দাস তাকে জোর করে ওটি থেকে বের করে দিলে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে মদমত্ত যুবক৷
চিকিৎসক অরূপ দাসকে বেধড়ক মারধর করে৷ ছুটে আসে অন্যান্য কর্মীরা৷ সেই মদমত্ত যুবকের হাত থেকে রক্ষা করে ডা. অরূপ দাসকে৷ এই ঘটনায় ডা. অরূপ দাস জিবি ফাঁড়িতে একটি মামলা দায়ের করেন৷
এই ধরনের ঘটনায় স্তম্ভিত তিনি৷ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান৷ সোমবার এই ঘটনা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন ভূমিকা না থাকায় এ জিএমসি-র প্রিন্সিপাল ডা. কে কে কুণ্ডু’র কাছে ঘটনা সম্পর্কে অবগত করে বেশ কিছু দাবি তুলে দেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকেরা৷
তাদের বক্তব্য হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হোক৷ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা নেওয়ার দাবি জানান তারা৷