স্টাফ রিপোর্টার, গন্ডাছড়া, ১৭ মে।। ধলাই জেলার গন্ডাছড়ার দুর্গাপুরের নবদ্বীপ পাড়ার এক উপজাতি গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ১৪ দিন নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গন্ডাছড়ার দুর্গাপুর এবং নবদ্বীপ পাড়ায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ,গত ৪ঠা মে গন্ডাছড়ার দুর্গাপুর এলাকার বাসিন্দা সচিরানি ত্রিপুরা জঙ্গলের লতাপাতা সংগ্রহ করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল।
এরপর আর বাড়িতে ফিরে না আসায় অনেক খোজাখুজির পর কোথাও না পেয়ে গত ৬ তারিখ সচিরানির স্বামী মধুচন্দ্র ত্রিপুরা গন্ডাছড়া থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করেন। অবশেষে রবিবার নবদ্বীপ পাড়ার গভীর জঙ্গলে লুঙ্গার ছড়ার পাশে গ্রামবাসীরা লতাপাতা সংগ্রহ করতে এসে বিবস্ত্র মৃতদেহটি দেখতে পায় । খবর দেওয়া হয় গন্ডাছড়া থানায়। পুলিশ ছুটে গিয়ে মৃতদেহটি সচিরানির বলে সনাক্ত করে।
কিন্তু দুর্গন্ধ পচাগলা মৃতদেহটি উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা কোন অবস্হাতেই সম্ভব ছিল না। তাই সেখানেই ডিসিএম এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের উপস্হিতিতে মরদেহ ময়না তদন্ত করা হয়। মৃতদেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধারনা করা হচ্ছে সচিরানি ত্রিপুরাকে ধর্ষণ করা হয় এবং ধর্ষণ শেষে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। পচাগলা রক্তমাখা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।