অনলাইন ডেস্ক, ১৭ মে।। ২০১৬ সালের ভারতে আলোড়ন জাগানো নারদ ঘুষকাণ্ড মামলা নতুন মোড় নিয়েছে। সোমবার সকালে গ্রেফতার হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছে তৃণমুলের জয়ী বিধায়ক মদন মিত্র।
একই সঙ্গে গ্রেফতার বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। ঘটনাচক্রে শোভন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এবারের বিধানসভা ভোটে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি।
সিবিআই সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কলকাতার নিজাম প্যালেসে অ্যারেস্ট মেমোয় সই করানো হয় এই চারজনকে। এদিন সকালে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সকাল ন’টা নাগাদ তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় সিবিআই। বাড়ি থেকে বের করার সময় ফিরহাদ বলেন, নারদ মামলায় আমাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বিনা নোটিশে আমাকে গ্রেফতার করা হল।
যদিও সিবিআইয়ের দাবি, গ্রেফতার করা হয়নি কাউকে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের চারজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সিবিআই সূত্রে জানা যায়, সোমবারই নারদকাণ্ডে এই চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে জমা দেবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। চার্জশিটের বয়ান ঠিক করে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন আসার পরই তড়িঘড়ি করে এই চারজনকে তুলে আনা হয়।
তারপরেই নিজাম প্যালেসে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সাংবাদিকরা মমতাকে জিজ্ঞেস করেন তাঁর আসার কারণের বিষয়ে। তিনি বলেন, ওদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। এরপরই এই গ্রেফতারকে বেআইনি বলে মমতা বলেছেন যতক্ষণ না তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তিনি নিজাম প্যালেস ছাড়ছেন না।
ওই চারজনের গ্রেফতারের পরেই তৃণমূল দাবি তুলেছে, যে মামলায় সিবিআই তাদের দলের তিন নেতাকে গ্রেফতার করেছে, সেই মামলায় অভিযুক্ত দুই বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়ও। তাঁদেরও কেন গ্রেফতার করা হলো না।
প্রকাশ্যে রাজ্য বিজেপির প্রায় কোনও নেতাই এর জবাব দিতে চাননি। তবে একান্ত আলোচনায় তাঁরা বলছেন, তদন্ত এগোচ্ছে। তথ্যপ্রমাণ অনুযায়ী সিবিআই যখন যাকে দরকার মনে করবে গ্রেফতার করবে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।