স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৬ মে।। স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুসারে মোহনপুর ও জিরানীয়া মহকুমায় কোভিড ১৯ সংক্রমণের ঘটনা মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ায় পশ্চিম জেলার জেলাশাসক রাভেল হেমেন্দ্র কুমার এই দুই মহকুমার কিছু এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৫ এবং সি আর পি সি-র ১৪৪ ধারায় প্রাপ্ত ক্ষমতাবলে তিনি আজ এক আদেশে মোহনপুর মহকুমার বামুটিয়া আর ডি ব্লকের বি এস এফ পাড়া (পূর্ব গান্ধীগ্রাম এবং পটুনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাংশ) এবং জিরানীয়া মহকুমার রাণীরবাজার পুর পরিষদের ১ থেকে ৩৬ নং ওয়ার্ড, পুরাতন আগরতলা ব্লকের অন্তর্গত সম্পূর্ণ ডলুরা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সমস্ত বৃদ্ধনগর গ্রাম পঞ্চায়েত ও জিরানীয়া আর ডি ব্লকের অন্তর্গত সমস্ত দুর্গানগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এই আদেশ কার্যকর করতে যেসব বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে তা নিম্নরূপ:
কনটেইনমেন্ট জোন কার্যকর করার কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি ও যান এবং স্বাস্থ্য সহ জরুরি পরিষেবার কাজে যুক্ত ব্যক্তি ও যান ছাড়া কোনও ব্যক্তি বা যান কনটেইনমেন্ট জোনে প্রবেশ বা কনটেইনমেন্ট জোন থেকে বাইরে যেতে পারবে না।
কনটেইনমেন্ট জোনে বসবাসকারী সমস্ত ব্যক্তি এবং বাইরে থেকে যারা কনটেইনমেন্ট জোনে ঢুকবেন তারা মাস্ক পরিধান করবেন। ৩) মুদির দোকান, ঔষধ ও ডেয়ারির দোকান ছাড়া কনটেইনমেন্ট জোনের বাকি সমস্ত দোকান, প্রতিষ্ঠান, পার্ক ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যে বলবৎ থাকা কার্টুর নিয়ম
অনুযায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিক্রয়কারী দোকান ও সকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। উল্লিখিত এলাকায় বসবাসকারী মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে। শুধুমাত্র কনটেইনমেন্ট এলাকার দোকান থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ের উদ্দেশ্যে তারা বেরোতে পারবেন। ৫) কনটেইনমেন্ট এলাকায় দুই বা ততোধিক লোকের জমায়েত হতে পারবে না৷
পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার কনটেইনমেন্ট এলাকার আসা যাওয়ার পয়েন্ট (নাকা পয়েন্ট) কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করবেন। তিনি নজর রাখবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার
জনগণের চলাচল যেন শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়ের জন্য হয়। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যারিকেড ও পুলিশ মোতায়েন করবেন।
কনটেইনমেন্ট জোনে জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী ব্যক্তিদের আই ডি দেখেই প্রবেশ পয়েন্টে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা এলাকায় ঢুকতে দেবেন। কনটেইনমেন্ট জোনে একমাত্র নির্দিষ্ট সরবরাহকারীরাই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করবেন। সংশ্লিষ্ট মহকুমা শাসক এবং বিডিও কনটেইনমেন্ট জোনের নিয়মিত স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করবেন।
কনটেইনমেন্ট জোনের প্রতিটি পরিবারের একজন সদস্য এবং আই এল আই / এ আর আই লক্ষণযুক্ত ব্যক্তি এবং সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির টেস্টিংবাধ্যতামূলক।
আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পানীয় জল স্বাস্থ্যবিধি দপ্তর ট্যাঙ্কার দিয়ে জল সরবরাহ করবে। টি এস ই সি এল নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে এবং আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সারাই কাজের টিমকে সর্বদা প্রস্তুত রাখবে।
পশ্চিম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কনটেইনমেন্ট জোনে যেন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিয়মাবলী পালন হয় তা সুনিশ্চিত করবেন। ১৩) মোহনপুর এবং জিরানীয়ার মহকুমা শাসক ব্যারিকেড / চেক পয়েন্ট, প্রয়োজনীয়
শেড ইত্যাদি তৈরি করবেন যাতে কনটেইনমেন্ট জোন সঠিকভাবে কার্যকর হয়৷ এই আদেশ ১৭-৫-২০২১-এর সকাল ৫টা থেকে ২৭-৫-২০২১-এর সকাল ৫টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।