অনলাইন ডেস্ক, ১৪ মে।। সেনা সরকারের বিরোধিতা করে খবর প্রকাশের ‘অপরাধে’ এই প্রথম সাংবাদিকের শাস্তি হল মিয়ানমারে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করার পর দেশজুড়ে লাগাতার আন্দোলন চলছে।
করোনাকালেও আন্দোলন বন্ধ হয়নি। প্রথম থেকেই কড়া হাতে আন্দোলন দমন করছিল সেনা প্রশাসন। ৮০০’র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে।
একাধিক সাংবাদিককেও সে সময় গ্রেপ্তার করা হয়। মার্চ মাসের শুরুতে তেমনই এক আন্দোলনের খবর প্রকাশ করেন ডেমোক্র্যাটিক ভয়েস অফ বার্মার সাংবাদিক মিন নিও। তারপর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অভিযোগ, থানায় নিয়ে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। পরিবারের সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের এক আদালতে মিনের মামলার শুনানি হয়। সেখানে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তিন বছর জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
মিয়ানমারের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদমাধ্যম ডেমোক্র্যাটিক ভয়েস অফ বার্মা (ডিভিবি)। বৃহস্পতিবার তারা জানিয়েছে, আরো তিনজন সাংবাদিক গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে পালিয়ে গেছেন থাইল্যান্ডে। অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য থাইল্যান্ড আবার তাদের আটক করেছে।
ডিভিবি থাই প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে, কোনোভাবেই যেন ওই সাংবাদিকদের মিয়ানমারে পাঠানো না হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দাবি, মিয়ানমারে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কার্যত শেষ। অধিকাংশ সংবাদমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাদের কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। মিনের দ্রুত মুক্তির দাবি করেছে মানবাধিকার সংগঠনটি।