অনলাইন ডেস্ক, ১৩ মে।। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৭ শিশু ও অন্তঃসত্ত্বাসহ আট নারী রয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা আরও জানায়, অব্যাহত হামলায় ৩৯০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের জবাবে রকেট হামলা চালিয়ে যাচ্ছে গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। এতে ছয় ইসরায়েলি প্রাণ হারিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রায় ১৫ রকেট ছোড়া হয়েছে। অধিকাংশ রকেটই আকাশে ধ্বংস করে দেয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’। কিছু রকেট গাজা সীমান্তের মধ্যেই পড়েছে।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে আরও একটি বহুতল ভবন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে গাজায় তিনটি বহুতল ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে, ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা পরিষদ দুটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেও কোনো বিবৃতি দিতে দেয়নি ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।
গত সোমবার তৃতীয় দিনের মতো মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের ওপর তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। অবরুদ্ধ করে রাখা হয় মুসল্লিদের।
আল-আকসা মসজিদ থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রকেট হামলার হুমকি দেয় গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। সেখান থেকে বাহিনী সরিয়ে না নিলে ইসরায়েলে রকেট ছোড়ে সংগঠনটি।
ইসরায়েলি উগ্রবাদীদের ‘জেরুজালেম দখল দিবস’ উদ্যাপন এবং শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ঘিরে এ উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। এরপর আল-আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কয়েকশ’ মুসল্লি আহত হন।