স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১২ মে।।রাজ্যের জনজাতি অংশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে বনজ সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার বাড়াতে ভারত সরকারের জনজাতি বিষয়ক মন্ত্রকের ট্রাইফেড উদ্যোগ নিয়েছে।
এই কর্মসূচিতে ত্রিপুরা সরকারের জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে বন ধন বিকাশ কার্যক্রম এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ক্ষুদ্র বনজ সম্পদ (মাইনর ফরেস্ট প্রোডিউস) বাজারজাতকরণের প্রক্রিয়া ও ভ্যালু চেনের উন্নয়ন বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। তাছাড়া সমস্ত জনজাতি ভিত্তিক স্বসহায়ক দলগুলিকে এই কাজে যুক্ত করা হচ্ছে। এজন্য রাজ্যে বন ধন বিকাশ কেন্দ্রগুলি স্থাপন করা হচ্ছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৮২টি স্বসহায়ক দলকে যুক্ত করে ১৭টি বন ধন বিকাশ কেন্দ্র স্থাপন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৮১ স্বসহায়ক দলকে যুক্ত করে ১৫টি বন ধন বিকাশ কেন্দ্র স্থাপন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই বন ধন বিকাশ কেন্দ্রগুলি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে আরও কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি, বনজ সম্পদ সংগ্রহের জন্য হাট বাজারগুলির আধুনিকীকরণ ও ন্যূনতম সহায়ক মূলো ছোট গুদাম ঘরগুলি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক প্রক্রিয়াকরণ ও নীচেরস্তর থেকে ক্ষুদ্র বনজ সম্পদের ভ্যালু অ্যাডিশন জনজাতিদের রোজগার বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উপরন্তু, এ জাতীয় উদ্যোগ বিশেষ করে জনজাতি মহিলাদের আর্থিক সশক্তিকরণে সহায়ক হবে।
যেহেতু ক্ষুদ্র বনজ সম্পদগুলি (মাইনর ফরেস্ট প্রডিউস) মহিলাদের দ্বারাই সংগৃহিত, প্রক্রিয়াকরণ, ব্যবহার ও বাজারজাত করা হয়। জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা এক প্রেস রিলিজে এই সংবাদ জানিয়েছেন।