অনলাইন ডেস্ক, ১১ মে।। ক’দিন ধরেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের ভেন্যু পরিবর্তন হতে পারে বলে আলোচনা শোনা যাচ্ছে। যেহেতু ফাইনালে ওঠা দুটি দলই ইংল্যান্ডের, তাই করোনা পরিস্থিতিতে ভ্রমণ জটিলতা এড়াতে তুরস্কের ইস্তানবুল থেকে ফাইনাল সরে যাওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এ ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের চেয়ে পর্তুগাল শক্ত প্রার্থী বলে জানাচ্ছে বিবিসি। পোর্তো ও লিসবন- দুটিই আছে সম্ভাব্য ভেন্যুর তালিকায়।
২৯ মে ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসি। আগে থেকেই যার ভেন্যু নির্ধারণ হয়ে আছে ইস্তানবুল। কিন্তু তুরস্কে ভ্রমণ নিয়ে ইংল্যান্ড সরকারের রেড নোটিশ জারির পরই আলোচনা শুরু হয় ভেন্যু পরিবর্তন নিয়ে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উয়েফা, যুক্তরাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা এবং দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সোমবার ভেন্যু পরিবর্তন নিয়ে বৈঠক করে।
পর্তুগাল এ ক্ষেত্রে সবুজ তালিকায় রয়েছে। কারণ সেখানে খেলা হলে দর্শকরাও মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ পাবে।
ম্যাচটি ওয়েম্বলিতে হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য সরকারকে বড় পদক্ষেপ নিতে হবে। এখন পর্যন্ত যারা উয়েফার সঙ্গে চুক্তিতে যেতে পারেনি।
এ ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের দিন ওয়েম্বলিতে ইএফএল চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে-অফ ফাইনালের সূচি নির্ধারণ হয়ে আছে আগে থেকেই। সেটিও সমাধান করতে হবে।
ইউরোপিয়ান ফুটবলের গভর্নিং বডি অবশ্য মনে করছে, ম্যাচটি পর্তুগালে হলে স্পন্সর ও সম্প্রচার কাজে যুক্তদের জন্য কাজটাও সহজ হবে। যারা খেলায় অংশ নিতে না পারলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ইংল্যান্ড থেকে যে সব দেশে ভ্রমণের সবুজ সংকেত রয়েছে, সেসব দেশে ভ্রমণের আগে সুনির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হলেও ফেরার পর কোয়ারেন্টাইন করতে হবে না। তবে লাল তালিকায় থাকা দেশ থেকে ইংলিশ নাগরিকরা ফিরলে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী হোটেলে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইন করতে হবে।
এখন ইস্তানবুলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল হলে এর প্রভাব পড়বে ইউরোপর ওপর। কারণ ১১ জুন শুরু হবে এই আসর। সিটি ও চেলসির খেলোয়াড়দের সেখানে শুরু থেকে অংশ নেওয়া কঠিন হবে যাবে।