অনলাইন ডেস্ক, ১১ মে।। হারারেতে মাত্র তৃতীয়দিনেই স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১৪৭ রানে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান।
এই সিরিজ দু’হাত ভরে দিয়েছে সফরকারীদের। পাকিস্তানের হয়ে প্রথমবারের মতো এক টেস্টে ৫ উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিন বোলার। প্রথম ইনিংসে হাসান আলী ২৭ রান খরচে নেন জিম্বাবুয়ের ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে নওমান আলী ৮৬ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট এবং ৫২ রান খরচ করে সমান উইকেট নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি।
এক টেস্টে তিন বোলারের ৫ উইকেট, ক্রিকেট ইতিহাস এমন বিরল দৃষ্টান্ত এর আগে দেখেছে মাত্র ৬ বার। শেষবারটি ঘটেছিল ১৯৯৩ সালে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার পল রেইফেলে, শেন ওয়ার্ন, টিম মে এক টেস্টে নেন ৫টি করে উইকেট।
সেই সঙ্গে আরেকটি রেকর্ডের পাতাতেও নাম লিখিয়েছেন নওমান ও আফ্রিদি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টি করে উইকেট ভাগাভাগি করেছেন পাকিস্তানের এই দুই বাঁহাতি বোলার। পাকিস্তানের তো বটে, টেস্ট ইতিহাসেও দুই বাঁহাতির একই ইনিংসে ৫ উইকেট করে নেওয়ার কীর্তিতে এটা দ্বিতীয়।
১৯০৯ সালে এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম এই রেকর্ডটি গড়েন ইংল্যান্ডের জর্জ হার্স্ট ও কলিন ব্লিথ। অজিদের দুই ইনিংসের ২০ উইকেটই নেন এই দুই বাঁহাতি বোলার। আর ১০০ বছরের বেশি সময় পর পুনরায় রেকর্ডটি স্মরণ করিয়ে দিলেন নওমান-আফ্রিদি।
গত ১০ বছরে এশিয়ার বাইরে এক টেস্টের চেয়ে বেশি যে সিরিজ খেলেছে তার মধ্যে এ নিয়ে দুটি সিরিজ জিতল পাকিস্তান। ২০১৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে তারা। এবার জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করলে ২-০ ব্যবধানে।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ড গড়েছেন বাবর আজম। তার অধিনায়কত্বে ৪ টেস্টের চারটিতে জিতেছে পাকিস্তান। এর আগে কোনো পাকিস্তানি অধিনায়ক অভিষেকেই টানা এত টেস্ট জিততে পারেনি। টানা চার টেস্টে জয়ের হিসেবে সব অধিনায়কদের মধ্যে অষ্টম স্থানে আছেন বাবর।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাকিস্তান দ্বিতীয় টেস্টে জয় পেয়েছে ইনিংস ও ১৪৭ রানে। এশিয়ার বাইরে এটি তাদের ইনিংস ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়। এর আগে ১৯৭৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডানেডিনে ইনিংস ও ১৬৬ রানে জিতেছিল পাকিস্তান।