‘ভুল করেছ বন্ধু! মোদী নয়, সাহায্য চাওয়া উচিত ছিল সোনু সুদের কাছে। তাহলে হয়তো তোমার প্রাণটা বেঁচে যেত’, এভাবে টুইটারে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কিশ্বর। করোনা আক্রান্ত রাহুল রবিবার মারা যান। এর আগের দিন চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে লাগাতার টুইট করেন তিনি। প্রথমে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে, সেখানে কাতর কণ্ঠে সাহায্য চান। পরে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে উদ্দেশ করে আরেকটি টুইট করেন।
টুইটে দিল্লির হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থার অপ্রতুলতা নিয়ে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। শনিবার ফেইসবুক পোস্টে রাহুল লেখেন, “আমিও যদি ভালো চিকিৎসা পেতাম, বেঁচে ফিরতে পারতাম।” পোস্টের শেষে বিদায়বার্তা জানান তিনি, “খুব শিগগিরই জন্ম নেব। অনেক ভালো ভালো কাজ করব। এখন যেন আর সাহস নেই আমার মধ্যে।”রাজীব গান্ধী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রাহুল।
সন্ধ্যার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে দিল্লিতেই আরেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই রবিবার তিনি মারা যান। এই ঘটনার রেশ চলছে ভারত জুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভে আছড়ে পড়ছেন অনেকেই। বিক্ষোভের আগুনে আরও ঘি ঢেলেছে ল্যানসেট পত্রিকার নতুন রিপোর্ট, যাতে কভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকেই দায়ী করা হয়েছে। এর মাঝে একধাপ এগিয়ে সোনু সুদকে মোদির থেকে বেশি কার্যকর হিসেবে বললেন অভিনেতা কিশ্বর মার্চেন্ট।