স্টাফ রিপোর্টার, বিশালগড়, ১০ মে।। চড়িলাম গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌতম চৌমুহনী এলাকায় একটি বিদ্যুতের খুঁটি দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল অবস্থায়। লোহার বিদ্যুতের খুঁটির গোড়ায় জং ধরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে গেছে। পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বিদ্যুৎ দপ্তর।
ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ খুঁটি। অসহায় একটি গ্রাম। সমস্ত গ্রামের মানুষ প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই বিদ্যুৎ খুঁটির পাশ দিয়ে যাতায়াত করেন। শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রত্যেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছেন। বিগত ১০ বছর যাবত বিদ্যুৎ নিগমের বিশ্রামগঞ্জ সিনিয়র ম্যানেজার অফিস এবং চড়িলাম বিদ্যুৎ কল সেন্টার অফিসকে জানানো হয়েছে। তিনবার দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। লোহার তৈরি বিদ্যুতের খুঁটি। জং ধরে খেয়ে ফেলেছে খুঁটিটিকে।
অল্প একটু বাকি রয়েছে। যেকোনো সময় ভেঙ্গে পড়ে ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। অথচ বিদ্যুৎ নিগমের অফিসে গেলে তারা নাকি নিজেদের দায়িত্ব এড়াতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে দেখিয়ে দিচ্ছে। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন এই যেকোনো সময় বড় ধরনের বিপদ হতে পারে। এক মহিলা জানান মহিলার বাড়ির বসত ঘরের পেছন দিয়ে গিয়েছে বিদ্যুৎ লাইন। খুঁটিটি মহিলার বসত ঘরের পেছনে।
বাড়িতে ছোট বাচ্চা রয়েছে। গতকাল চড়িলাম এ ঝড়-বৃষ্টি তুফান হয়েছে। খুটিটি সম্পূর্ণ হেলে গিয়েছিল বলে মহিলা জানান। তারপর বাধ্য হয়ে মহিলার স্বামী ছেলে সবাই মিলে দড়ি দিয়ে বেঁধে বাঁশ দিয়ে নারিকেল গাছের সঙ্গে বেঁধে কোনরকমে রক্ষা পেয়েছেন। যদি দড়ি এবং বাঁশ দিয়ে খুঁটিটিকে না বেঁধে রাখা হতো তাহলে গতকালকেই খুঁটিটি পড়ে পুরো গ্রামের বিপদ ডেকে আনতে পারত।
বাধ্য হয়ে মহিলার পরিবার থেকে আজ আবারো দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে চড়িলাম বিদ্যুৎ কল সেন্টার অফিসে। অথচ বিদ্যুৎ দপ্তর এর কোনো হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। ঘটনা চড়িলাম আর ডি ব্লকের অন্তর্গত উত্তর চড়িলাম গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌতম কলোনি এলাকায়। মহিলার দাবি অতি দ্রুত এই লোহার খুঁটি পাল্টিয়ে যাতে বিদ্যুৎ বেগম সিমেন্টের খুঁটি বসায়।
শুরু হয়ে গিয়েছে ঝড় বৃষ্টির দিন। গতকালের বৃষ্টিতে কোনরকমে রক্ষা পেলেও সামনের ঝড় এবং বৃষ্টিতে এই খুঁটিকে কোন ভাবেই রাখা যাবে না বলে জানান মহিলা। প্রতিদিন গ্রামের মানুষ এবং এই মহিলার বাড়ির লোকজন ঝড় বৃষ্টি হলে আতঙ্কে দিন রাত কাটান। না জানি কখন কি হয়। তাই দাবি উঠছে অতি দ্রুত এই বিদ্যুৎ খুঁটি পাল্টানোর জন্য।